মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৬ দিনের বিলেত সফর শেষে কলকাতায় (kolkata) ফিরেছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে তাঁর বিমান অবতরণ করে। বিমানবন্দরের বাইরে উপস্থিত ছিলেন প্রচুর দলীয় কর্মী ও সমর্থক, যারা উচ্ছ্বাসে ভাসছিলেন। তাদের মুখে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ!’ স্লোগান শোনা যায়। প্রায় আট দিন পর কলকাতায় ফেরার ফলে দলীয় কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ ছিল, যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। মুখ্যমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে কর্মীদের দেখে হাত নেড়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং পরে গাড়িতে চেপে শহরের দিকে রওনা হন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁর এই সফরটি শুরু করেছিলেন গত শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে দমদম বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের বিশেষ সচিব গৌতম সান্যাল, শিল্প সচিব বন্দনা যাদব, ডাইরেক্টর অফ সিকিউরিটি পীযূষ পাণ্ডে এবং WBTC-এর অফিসাররা। সফরের আরও এক উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলেন শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরী, মেহুল মোহানকা, উমেশ চৌধুরী, সন্তোষ বাঙ্গার। এছাড়া ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
লন্ডনে তাঁর সফরের উদ্দেশ্য ছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর ভাষণ প্রদান করা। ২৩ মার্চ রবিবার দুপুরে তিনি লন্ডনে পৌঁছান এবং ২৪ তারিখ ভারতীয় হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরদিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার, শিল্প সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন এবং বুধবার বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজে তাঁর বহু প্রতীক্ষিত ভাষণ দেন। তার ভাষণটি ব্যাপক সাড়া জাগায়, যেখানে তিনি নিজের জীবন সংগ্রামের কথা শোনান এবং শান্তির বার্তা দেন। তবে অনুষ্ঠান চলাকালে কিছু এসএফআই ও অতিবাম সদস্যরা শোরগোল তুললে কিছুটা সমস্যা হয়, কিন্তু জনতার সহযোগিতায় তারা বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়, অনুষ্ঠান ও প্রশ্নোত্তর পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।
আরও পড়ুন:Mithun Chakraborty:”এবার জিতলে কিন্তু হিন্দুদের নির্বংশ করে দেবে” বিস্ফোরক ভবিষ্যৎবাণী মিঠুনের