‘বামেদের নয়,এটা দিদির নতুন বাংলা,সেরা বাংলা’,লন্ডনে শিল্পপতিদের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জয়জয়কার।তাঁদের মুখে বাম আমলের সঙ্গে আজকের বদলে যাওয়া বাংলার কথা।সঞ্জয় বুধিয়া,মেহুল মোহঙ্কারা বললেন,-বাম আমলের মতো আর পরিবেশ নেই।এটা দিদির তৈরি নতুন বাংলা,সেরা বাংলা।শিল্পবান্ধব এবং বিনিয়োগের আদর্শ পরিবেশ রয়েছে এখানে।ধর্মঘট,লকআউট কিছু হয়না আর।মসৃণভাবে কাজের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই।বস্তুত,বাংলার শিল্পক্ষেত্রের পরিস্থিতি ঠিক কোন অবস্থায় ছিল বাম আমলে, সিঙ্গুরই তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।হতে হতেও সেখানে টাটাদের শিল্প তৈরি হয়নি।৩৪ বছরের বামশাসন পতনের পিছনে অনেকেই সিঙ্গুরের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।তবে সেসব চর্চা এখন অতীত।এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে যাওয়া বাংলায় শিল্পের পালে দারুণ হাওয়া!বাংলার শিল্পপতিরা তো বটেই,দেশ-বিদেশ থেকেও বাংলায় বাণিজ্য বিস্তারে আগ্রহী ব্যবসায়ী মহল।আর সেই আগ্রহ তো একদিনে তৈরি হয়নি।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এরাজ্যের শিল্প নীতির সরলীকরণ হয়েছে।ধর্মঘট উঠে গিয়েছে,শ্রমিক আন্দোলনে কারখানাগুলিতে তালা ঝোলা বন্ধ।এখন শুধু গতির বাংলা।যাঁরাই বাংলায় বিনিয়োগ করছেন,তাঁরাই সুফল পাচ্ছেন।সেকথাই লন্ডনের শিল্প বৈঠকে তুলে ধরলেন এখানকার শিল্পপতিরা।
মঙ্গলবার লন্ডনে এই বৈঠকে যোগ দেওয়া শিল্পপতিদের তালিকায় ছিলেন,-চন্দ্রমোহন ধানুকা (এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান, ধানসিঁড়ি ভেঞ্চারস),হর্ষবর্ধন আগরওয়াল (প্রেসিডেন্ট, ফিকি, ভাইস চেয়ারম্যান, ইমামি গ্রুপস),হর্ষবর্ধন নেওটিয়া (চেয়ারম্যান, অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপ),কে কে বাঙ্গুর (গ্রাফাইট ইন্ডিয়া),মেহুল মোহানকা (এমডি, টেগা ইন্ডাস্ট্রিজ),প্রশান্ত বাঙ্গুর (চেয়ারম্যান, ফিকি, WBSC, ভাইস চেয়ারম্যান, শ্রী সিমেন্টস),প্রশান্ত মোদি (ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি, GEECL),রুদ্র চট্টোপাধ্যায় (এমডি, লক্ষ্ণী গ্রুপ, চেয়ারম্যান, OBEETEE),সঞ্জয় বুধিয়া (ম্যানেজিং ডিরেক্টর, প্যাটন ইন্টারন্যাশনাল), সত্যম রায়চৌধুরী (চ্যান্সেলর, সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়),শাশ্বত গোয়েঙ্কা (ভাইস চেয়ারম্যান, আরপি-সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপ),তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা (প্রেসিডেন্ট, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ),উজ্জ্বল সিনহা (এমডি, জেনেসিস অ্যাডভারটাইজিং),উমেশ চৌধুরী (ভাইস চেয়ারম্যান অ্যান্ড এমডি, টিটাগড় রেল সিস্টেমস),জ্যোতি ভিজ (ডিরেক্টর জেনারেল, ফিকি) এবং মৌসুমী ঘোষ (ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, ফিকি)।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্পপতি মেহুল মোহঙ্কা জানান,-“বাংলায় ওখানে শ্রমিক সমস্যা নেই। শ্রমদিবস নষ্ট হয় না।” প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বিষয়টি দেখে নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পপতি সঞ্জয় বুধিয়ার কথায়, “বাম আমলের মতো শ্রমদিবস নষ্ট হয় না। তাই এ রাজ্যে কাজ করা পছন্দ করি।”শিল্পপতিদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও বলেন,-“আগে (বাম আমলে) ৭৫ হাজার শ্রম দিবস নষ্ট হত।এখন হয় না।আমাদের আগের সরকারের আমলে শিল্পের সমস্ত গৌরব হারিয়ে গিয়েছিল।আমরা তা ফিরিয়ে এনেছি।”এদিন মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন,-“আমি লন্ডনকে ভালবাসি।”
আরো দেখুন:Sealdah Train: শিয়ালদহ শাখার লোকালে বাড়ছে মহিলা কামরার সংখ্যা