ফের রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।সপ্তাহের প্রথম দিনই আহত হন শুভেন্দু অধিকারী।বেলগাছিয়ায় বিকেলে গুরুত্বর আহত হওয়ার পরই তিনি বলেন,-“পুলিশ আমায় রক্তাক্ত করেছে”!সকালেই বেলগাছিয়ায় পরিদর্শন সারেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।এদিকে,বিকেলে বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেতেই আটকায় পুলিশ। বাড়ি বাড়ি ঘুরতে বাধা দেওয়া হয়।পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলা হলেও শুভেন্দু অধিকারীকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।এমনকী,শুভেন্দু অধিকারীর হাতে আঘাত করারও অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে,এদিন হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিরোধী দলনেতা।বিজেপির তরফে জল,খাবার, ত্রিপল দেওয়া হয়েছে বলে জানান শুভেন্দু।৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।পাশাপাশি শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে শুভেন্দুর অভিযোগ,-“হিন্দু বলে হাওড়ার ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করছে না সরকার।রোহিঙ্গা থাকে না তাই রিলিফ নেই, হিন্দু থাকে তাই রিলিফ নেই।”শুভেন্দুর আরও অভিযোগ,-“২ হাজার বেআইনি বাড়ি রয়েছে হাওড়া জুড়ে।গরিবদের লুঠ করছে মমতার সরকার।”
এদিকে,এরপরই বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনের মাঝ পথে ব্যারিকেড দিয়ে বিরোধী দলনেতাকে আটকায় পুলিশ।শুভেন্দুর সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের।এরই মাঝে গুলাম মোর্তাজা নামে এক পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দুর হাতে আঘাত করেন বলে অভিযোগ।
এরপর হাত তুলে ক্ষতচিহ্ন দেখাতে থাকেন শুভেন্দু।বলেন,-“মমতার পুলিশ মারল,দেখুন।সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তাটুকু দিতে পারে না।আর গরিব অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে দিচ্ছে না।বুদ্ধদেব মমতাকে প্রোটেকশন দিত।আর মমতা বিরোধী দলনেতাকে মার খাওয়াচ্ছেন।লম্পট মন্ত্রী এসেছিল,পালিয়েছে ওদিকে।সরকার মারা গিয়েছে,এটা প্রমাণ হচ্ছে।”হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ রক্তাক্ত করেছে,বললেন শুভেন্দু।
এদিন পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতেও জড়ান বিরোধী দলনেতা।মন্ত্রী ঘুরে যেতে পারল,অথচ বিরোধী দলনেতাকে আটকানো হল,বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করাতেই আটকানো হল বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষও।সরকারের তরফে কেবল একটা স্কুলেই ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে,পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়নি বলে দাবি শঙ্কর ঘোষের।সরকার কিছুই করেনি বলে অভিযোগ শুভেন্দুর।তিনি বলেন,-“কাল থেকে লোকগুলিকে খাবার তো দূর, জলও দেওয়া হয়নি।আমি অবিলম্বে তাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।অবিলম্বে ২০ হাজার টাকা করে দিন রাজ্য সরকার।হিন্দু বলে করছে না,রোহিঙ্গা হলে করত।”এদিকে বেলগাছিয়ায় ধসকাণ্ডের প্রতিবাদে হাওড়া পুরসভা অভিযান করে বিজেপি।এদিকে এদিন শুভেন্দু অধিকারী আহত হতেই বিধানসভায় অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হাজির হন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।