বাংলার সংস্কৃতিতে বারো মাসে তেরো পার্বণের মহিমা অনন্য। প্রতিটি উৎসবের মধ্যে রয়েছে বিশেষ এক ধরনের জাঁকজমক এবং ঐতিহ্য, যা মানুষের হৃদয়ে অন্যরকম আনন্দের সঞ্চার করে। এসব উৎসবের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে, সকলেই একত্রিত হয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। এরকমই একটি উৎসব হলো রঙের উৎসব, দোল এবং হোলি, যা শুধু ভারতের নয়, বরং পৃথিবীজুড়ে সকল ধর্মের মানুষকে একত্রিত করে।
এ বছর, কলকাতা পুরসভা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে আলিপুরের ধনধান্যে প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত হয় দোলযাত্রা ও হোলির মিলন উৎসব। গুজরাটের গরবা এবং ডান্ডিয়া নাচের পাশাপাশি বাংলার ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানও ছিল সেখানে। পুরো পরিবেশ হয়ে ওঠে রঙিন ও আনন্দময়। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) নিজেও উৎসবে অংশ নেন এবং ডান্ডিয়া নাচে যোগ দেন। তবে, উৎসবের আনন্দের পাশাপাশি তিনি রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে দেন যে, উৎসবের সময় কখনোই ধর্মীয় অশান্তির প্ররোচনায় না আসতে। তিনি বলেন, “অনেকে নানা ধরনের উসকানি দেবে, তবে তাদের কথায় কান দেবেন না। নিজের মতো করে দোল-হোলি খেলুন, অন্তরকে রঙিন করুন।”
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) তার বক্তব্যে আরো বলেন, “এ বছর দোল ও হোলি একই দিনে পড়েছে এবং তা রমজান মাসের সঙ্গে মিলে গেছে। এই সময়টা আসলে উৎসবের মরশুম, যেখানে আমরা একসঙ্গে থাকব, আনন্দ ভাগ করে নেব। কেউ রোজা রাখবে, কেউ দোল-হোলি খেলবে, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মনটা রঙিন রাখা।” তিনি আরও জানান, বাংলায় সবাই একসঙ্গে থাকতে হবে, যাতে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। “আমরা ঝগড়া চাই না, শান্তি চাই। বাংলার শান্তি দেশের শান্তি,” বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়া, এই উৎসবের মাধ্যমে, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেন, যা সমাজে ঐক্য ও শান্তির প্রতীক হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:Bangladesh: ঈদের বাজারে নগদে টান বাংলাদেশে, বিপাকে ইউনূস