চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই ফের শনির দশা শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে (BJP)। ক্রমশই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে পদ্ম-পরিবারের অন্দরে। দুর্বল হচ্ছে সংগঠন। একের পর এক প্রকাশ্যে আসছে দলীয় অন্তর্ঘাত। মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনেও ধরা পড়ল সেই একই ছবি। মঙ্গলবার কাকদ্বীপে দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই বিজেপির কর্মীরা তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন। ক্রমে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। একপক্ষ অন্যপক্ষকে গালিগালাজও করতে থাকে। যদিও গন্ডগোলের বিষয়টি এড়িয়ে কার্যত অস্বীকার করেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।বিজেপি নেতা শিবপ্রসাদ প্রামাণিক বলেন, এটা কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নয়। নিজেদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। সাংগঠনিকভাবে বসে নিজেদের মধ্যেই অসন্তোষ মিটিয়ে নেওয়া হবে।

এদিকে এই ঝামেলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের নেতা বিপ্লব দাস বলেন, এই গোষ্ঠীকোন্দল ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে, সভাপতি নির্বাচন নিয়ে নয়। সব জায়গার মতো কাকদ্বীপেও নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার মণ্ডল ২ এর সভাপতি হন দেবাশিস দাস। আর তারপর থেকেই বিজেপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়েই দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কার্যালয়ের ভিতর রাখা চেয়ার ছোঁড়াছুড়িও হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি চেয়ার। এমনকী দলীয় পতাকাও ছেঁড়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছে, কাকদ্বীপে এদিন এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *