তৃণমূলের মেগাসভায় ছেলের সামনে মুকুল রায়কে ‘বেইমান’ বলেন দল সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। বিজেপির কৌস্তভ বাগচীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জ্বল জ্বল করছে শুভ্রাংশুর হাসি মুখের ছবি। যা নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এই প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ শুভ্রাংশুকে কটাক্ষ করে বলেন, “পেটের জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। কে বেইমান, কে কী, আমাদের জানার দরকার নেই।” তিনি আরও বলেন, “এ সমস্ত লোকেরা আমাদের দলেও এসেছিল, আবার চলেও গেছে। আমরা কাউকে বেইমান বলিনি। রাজ্য রাজনীতিতে কেউ আসছে, কেউ যাচ্ছে। বিজেপি এদের ওপর নির্ভর করে না। কিন্তু যারা কংগ্রেসের সঙ্গে বেইমানি করে তাদের তৃণমূল তৈরি করেছে।”

উল্লেখ্য,কমিশনের আশীর্বাদে ভোটার লিস্টে ভূতুড়ে নাম ঢোকাচ্ছে বিজেপি! বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে নিজের এই অভিযোগের সপক্ষে বাংলার ভোটার লিস্টের কিছু নথিও তুলে ধরেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।২৪ ঘণ্টার ব্য়বধানে এবার রাজ্যের ভোটার লিস্ট নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় চক্রান্তের অভিযোগ আনলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।এ প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “ভোটার নিয়ে আলোচনার পিছনে তৃণমূলের চক্রান্ত আছে। প্রত্যেক বিধানসভায় পাঁচ থেকে দশ হাজার বাংলাদেশি ভোটার এনে ভোট করানো হবে, এই চক্রান্ত চলছে। তাই আগে থেকেই উল্টো প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “কুম্ভ ও সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। হিন্দুদের উৎসবের ছুটি কেটে মুসলিমদের দিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো করে দেবে। তাই বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা এনে ঢোকানো হচ্ছে। হিন্দু ভোট যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাবে, তা বোঝাই যাচ্ছে।”

প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার আয়োজিত ওই মহাসমাবেশ থেকে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেই মুকুল, শুভেন্দুদের আমি চিহ্নিত করেছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “অনেকেই সংবাদমাধ্যমের আলোয় ভেসে থাকার জন্য দলকে ছোট করছেন। আমি মুখপাত্র-সাংসদ-বিধায়ক, আমার কত ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে দলের ক্ষতি করবেন না।” অভিষেক স্পষ্ট জানান, দলে থেকে যারা ‘দলবিরোধী’ কাজ করছেন, তাঁদের উপর নজর রাখা হচ্ছে।এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুভ্রাংশুর হাসিমুখের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই জল্পনা আরও বেড়েছে। বিজেপি ও তৃণমূল উভয় শিবিরেই শুরু হয়েছে পাল্টা তোপ দাগার পালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *