আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ড নিয়ে বিগত আগস্ট মাস থেকে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এই মামলায় কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। এবার সামনে আসছে নয়া তথ্য! সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস কো-রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে তথ্য প্রমাণ লোপাটের আভাস।
আগামী ১৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে প্রকাশ্যে এলো এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। শিরোনামে উঠে এসেছে আরজি কর মামলায় সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস কো রিপোর্ট। ইতিমধ্যেই এই রিপোর্ট শিয়ালদহ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, মূলত ৩টি বিষয়।বলা হয়েছে, টালা থানার তৎকালীন ওসি তথা অভিজিৎ মন্ডলের সিম ফেরত দিলে, তথ্যপ্রমাণ লোপাট হতে পারে। সিবিআই-এর দাবি, প্রাক্তন ওসির সিম তদন্তের জন্য খুব-ই গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যপ্রমাণ লোপাটে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে এই ঘটনায়। সিম ফিরিয়ে দিলে সিডিআর মেলাতে সমস্যা হতে পারে। খুব স্বাভাবিকভাবেণই সিবিআই-এর এই রিপোর্ট সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। কারণ সিবিআই রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ, টালা থানার প্রাক্তন ওসির সিমে ‘রহস্যের চাবিকাঠি’রয়েছে! আরজি কর-কাণ্ডে যে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ হয়েছে, সেকথা বলছে সিবিআই রিপোর্ট।
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে স্থানীয় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু যথাযথ প্রমাণ না মেলায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। যদিও অভিজিৎ মণ্ডলের বাজেয়াপ্ত সিম রয়ে গিয়েছে তদন্তকারীদের কাছেই। সেই সিম ফেরত চেয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন টালা থানার প্রাক্তন ওসি। যার বিরোধিতা করে সিবিআই-এর এই স্ট্যাটাস কো-রিপোর্ট।
ওদিকে নিম্ন আদালতের রায়ে আরজি কর ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সবপক্ষের তরফে ফাঁসির দাবি থাকলেও, তাকে যাবজ্জীবন সাজা শুনিয়েছে আদালত। যদিও সেই রায়ের বিরুদ্ধে জল গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। উল্লেখ্য, এই মামলায় যে তথ্যপ্রমাণের আভাস স্ট্যাটাস রিপোর্টে দিয়েছে সিবিআই, সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা খুব শিগগির-ই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট আনবে বলেও সূত্রের খবর।