বছর খানেকের আর বেশি সময় বাকি, অথচ এখনও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির (BJP)নেতৃত্ব অগোছালো। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব সংকটে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে, নাটকীয়ভাবে রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ ঘোষকে ফেরানোর পক্ষে সুর উঠছে। বিজেপির পুরোনো কর্মীরা মনে করছেন, যিনি বঙ্গ বিজেপিকে বিরোধী দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাকে আবার সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনা উচিত। আসলে, বর্তমানে বঙ্গ বিজেপিতে এক ধরনের অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর নিজস্ব পথেই এগোচ্ছেন, আর বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির পতাকা দেখা যাচ্ছে না। রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে রাজ্যে যথেষ্ট সময় দিতে পারছেন না। ফলে, দলে একক নেতৃত্বের অভাব দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে, সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে এবং মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এই অস্থির পরিস্থিতিতে সায়ন্তন বসুর অনুগামীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলীপ ঘোষকে ফের সভাপতি পদে বসানোর দাবি জানাচ্ছেন।
সায়ন্তনের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের পক্ষ থেকে দিলীপ ঘোষের নাম প্রস্তাব করে পোস্ট করা হচ্ছে, যেখানে বলা হচ্ছে, “পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে দিলীপ ঘোষের মতো সাফল্য কেউ আনতে পারেনি। তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপিকে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যদি তার নির্দেশে চলা হতো, তাহলে আজ বিজেপি ক্ষমতায় থাকতো।” দলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি রামকমল পাঠকও একই কথা বলেছেন, তার মতে, “বঙ্গ বিজেপির বর্তমান অচলাবস্থা সমাধান হওয়া দরকার, আর তার জন্য একজন শক্তিশালী ব্যক্তিকে দ্রুত রাজ্য সভাপতি হিসেবে বসানো উচিত।” এছাড়াও, সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, এবং পুরোনো নেতারা কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে অভিযোগ জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:Shruti Das: ভুয়ো কাস্টিং এজেন্সি নিয়ে কি বললেন শ্রুতি?