আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন শিয়ালদহ আদালত। কিন্তু এতে নাগরিক সমাজে তুমুল আমরণ। একই মত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিন সাজার খবর শুনে তিনি বলেন, বিচারের রায় নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আইনজীবীরা জানেন। আমাদের থেকে আগেই এই কেস ইচ্ছে করে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের হাতে থাকলে আগেই ফাঁসির অর্ডার করিয়ে নিতাম। আমরা চেয়েছিলাম বিচার হোক। তিনি যে এই রায়ে অসন্তুষ্ট এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন। সিবিআই তদন্ত নিয়ে মমতা কিছু বলতে রাজি নন।
সঞ্জয়ের রায় ঘোষণার পরেই অনেকের মন ভেঙেছে। আশাহত মূখ্যমন্ত্রীও। আমৃত্যু কারাদণ্ডের কথা শুনে আক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘বিচার বিচারকের হাতে। আমরা তিনটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছি। ৫৪ দিনে গুরাপের মামলার শুনানি হয়। আমরা ৫৩-৫৪ দিনের মধ্যে প্রতিটি মামলা শেষ করেছি। তবে বিচারকরা একটু সময় নেন কারণ সব দিক দেখে রায় দিতে হয়।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল এমার্জেন্সি মেডিক্যাল ভবনের চতুর্থ তলায় সেমিনার কক্ষে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার ১৬৪ দিন পর শিয়ালদহ আদালত এই সাজা ঘোষণা করল। শিয়ালদহ আদালতের ২১০ নম্বর কক্ষে আরজি কর মেডিকেলে ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন:Rukmini Maitra: রুক্মিণীর ছবির প্রচারে এগিয়ে এলেন কে?