বেশ কিছু মাস ধরেই পরিচালক বনাম ফেডারেশনের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছে। অনেকেই মনে করছেন পরিচালকরা নিজে বিলাসবহুল জীবন কাটানোর জন্য টেকনিশিয়ানদের সমস্যার কথা বুঝেবন না। তার জন্য ফেডারেশনকে প্রয়োজন। এদিন সেটারই জবাব দিলেন কৌশিক, পরমরা।

অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) এদিন বলেন, ‘আমরা যে অর্থনৈতিক অসাম্যের মধ্যে আছি, বা এই ইন্ডাস্ট্রি আছে, এখানে একজন ইলেকট্রিশিয়ান যে টাকা এবং একজন পরিচালক যে টাকা পান সেই অসাম্য আমরা গড়ে তুলিনি। এটার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা চলে আসবে। শিক্ষা, গঠনতন্ত্র, সরকার, এটা ওটা চলে আসবে। কিন্তু পাঁচতলা বাড়িতে থাকি বলে, গাড়ি চড়ি বলে ইন্ডাস্ট্রির যাঁরা অতটা প্রিভিলেজ নন তাঁদের নিয়ে কথা বলা যাবে না এটা আমার মনে হয় ঠিক নয়।’

অনির্বাণ (Anirban Bhattacharya) এদিন আরও বলেন, ‘তুমি ১৭ তলার বিল্ডিংয়ে বসে আছো, কেউ বাইরে দিয়ে সেই বিল্ডিংয়ের কাচ পরিষ্কার করছেন। সেটা দেখে তুমি বললে উনি যদি পড়ে যান তাহলে? তখন তোমায় যদি কেউ বলে ১৭ তলায় তুমি বসে কেন, দোতলায় অফিস করো। সেটা তো হতে পারে না।

১৪ ঘণ্টার শ্যুটিং হয়। ৪০ ফুট রোস্ট্রাম লাগানো আছে, তার উপর দুটো ৪কে তোলা আছে। তুমি জানো ওই ৪ টে ছেলে কখন বাড়ি যায়? আরও ৪ ঘণ্টা পর। সবসময় একটা রাজনৈতিক শক্তির গরিবের গরীব হয়ে থাকা ফোর্স লাগে চালিকা শক্তি হিসেবে যাতে বলতে বলতে পারে ওই দেখো ওরা বসে বিএমডাবলুতে আর তুমি শ্যুটিংয়ের পরেও কতক্ষন কাজ করছ।’

শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা ডাকাতিয়া বাঁশি হিট করা মানে, একটা সিঙ্গার, একটা শিল্পী, একটা শিল্পকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেয়। আজ ননীচোরা দাস যাঁর কোনও রেট ছিল না, তাঁর ডিসেম্বর কোনও ডেট নেই। ৭০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।’

এই প্রসঙ্গে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় সাফ সাফ জানান, ‘কেউ এমনি এমনি এই জায়গায় পৌঁছয় না। অভিজ্ঞতা, অধ্যাবসায়, পরিশ্রম দিয়ে পৌঁছয়। রেজাল্ট দিলে পারিশ্রমিক বাড়ে। মালিকপক্ষ শ্রমিক পক্ষ করে একটা জামানায় যে ভুল করা হয়েছিল, সেটাই হচ্ছে।’

আরো পড়ুন: Recipe: বাড়িতে বানিয়ে নিন চকো ফাজ ব্রাউনি

Image source-Google

By Torsha

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *