২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া পেয়েছিল ‘তুমকো না ভুল পায়েঙ্গে’ ছবিতে প্রথমবার জুটি বেঁধেছিলেন দিয়া মির্জা ও সলমন খান। সলমন খানের সাথে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল তা সকলের সাথে ভাগ করে নেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা।
শুটিংয়ের কথা বলতে গিয়ে মির্জা (Diya Mirza) বলেন, ‘হাম শ্যুট কর রহে থে রাজপাল যাদব কে সাথ অউর বহুত ফানি সিন চল রাহা থা। দৃশ্য কে সময়পে জো লেডি সলমন কি মাকে রোল প্লে কর রহিথি ও ভি থি। ওহ শটের কে লিয়ে ওয়েট কর রহে থে। সলমন অ্যায়সে হি মুঝসে কেহতে রহে (আমি রাজপাল যাদবের সঙ্গে শ্য়ুট করছিলাম। মজার দৃশ্য চলছিল। সেই সময় যিনি সলমনের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন, তিনি অপেক্ষা করছিলেন। সলমন তখন আমায় এসে বলল, ‘তুমি জানো, এই মহিলা যিনি আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন উনি আমার হিরোইন ছিলেন! আমি বললাম কেয়া!’
দিয়া (Diya Mirza) আরো বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, বিশ্বাস করতে পারছিলাম না! সলমন ফের বলল, হ্যাঁ তিনি উনি আমার ছবির হিরোইন ছিলেন। আমি বললাম, তাহলে ও তোমার বয়সী, যিনি তোমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন? সলমন তখন বলল, হ্যাঁ আর একদিন তুমিও আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করবে!’
এরপর দিয়া ফের বলেন, ‘সলমনকে আমি বললাম, আশি করি, সেই দিনটি আর কখনও আসবে না। সলমনের সঙ্গে আমার কাজ করার স্মৃতিগুলি একেবারেই আলাদা, খুবই মজার ছিল। আমার মনে আছে, সলমন সেটে সবার জন্য ভীষণ যত্নশীল ছিলেন। তখন কোনও লিঙ্গ বৈষম্য ছিল না। যদিও সেটে খুব কমই মহিলা থাকতেন।’
প্রসঙ্গত, গৌতম বাসুদেব মেননের ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন দিয়া মির্জা। এরপর তিনি ‘দম’, ‘তেহজিব’, ‘তুমসা নেহি দেখা’, ‘পরিণীতা’, ‘দশ’, ‘ফাইট ক্লাব-মেম্বারস অনলি’, ‘আলাগ’, ‘লাগে রহো মুন্না ভাই’, ‘হানিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘সঞ্জু, থাপ্পড়’ এবং ‘ভিড়’ মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
আরও পড়ুন: Samantha Ruth Prabhu: ছোটবেলা থেকে কেনো হীনমন্যতায় ভুগতেন সামান্থা?
Image source-Google