যাকে বীরভূমের বাঘ বলা হয়,এবার সেই অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ ছাড়তে চলেছেন।হঠাৎ কেনো এমন সিদ্ধান্ত?তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর,সংগঠন চাঙা করতে কর্মীদের সঙ্গে সভা করেও,হঠাৎ ভলবদল কেনো হলো অনুব্রত মণ্ডলের?

২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়ে তবেই জেলা সভাপতির পদ ছাড়বেন তার প্রিয় কেষ্ট। সোমবার সিউড়ির পুরন্দরপুর এলাকার বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।

সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেষ্ট বলেন, “নুরুল খুব ভালো ছেলে। আমরা একসাথে রাজনীতি করেছি এবং একসাথে কাজ করেছি। আমি নুরুলকে বলব এখনই পদ না ছাড়ার কথা। আরেকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়ার পর ছাড়তে হলে, একসাথে দুই দাদা ভাই মিলে ছাড়ব।”

প্রসঙ্গত,বীরভূমে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নুরুল ইসলাম। দুজনেই প্রায় একই সঙ্গে রাজনৈতিক জীবনে পথ চলা শুরু করেছিলেন। অনেকেই নুরুল ইসলামকে ‘ছোট কেষ্ট’ নামে ডাকেন। নুরুল সিউড়ি ২ ব্লকের সভাপতি। চলতি বছরের জুলাই মাসে তিনি পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও শতাব্দী রায়কে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁর পদ ছাড়ার নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে যায় সেই সময়ে। পদ ছাড়ার কারণ প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তিনি পরবর্তী প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান। তিনি মেন্টর হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। যদিও বিজেপির দাবি ছিল নুরুল ভয়ে পেয়েই পদ ছাড়তে চাইছেন। কারণ তাঁর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছিল সিবিআই।

তিহাড় থেকে ফিরে অনেকটাই ঝাঁঝ কমেছে অনুব্রত মণ্ডলের। এখনও পর্যন্ত তিনি যতগুলো কর্মী সভায় উপস্থিত হয়েছেন, সেখানে তাঁকে নরম সুরে কথা বলতে শোনা গিয়েছে।

এমন সময় অনেকেই মনে করছেন,বীরভূমের মাটিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নব প্রজন্মের হাতেই সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা।

 

আরো দেখুন:Mamata Bannerjee: আন্দোলন নিয়ে চিকিৎসকদের কী পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর ?