এবার এক পথকুকুর বাঁচালো ভারতীয় নারীর প্রাণ!সেইদিন যদি ঐ পথ কুকুর না থাকতো তাহলে ভারতবর্ষের বুকে সম্মানহানি হত আরো এক নারীর। বীরযোদ্ধার মতো সামনে এসে না দাঁড়ালে শেষ হয়ে যেত আবারও একটি মেয়ের প্রাণ!

ঠিক কি ঘটেছিল?চলুন তবে শুরু করা যাক!

ঘটনাটি গত ৩০ শে জুনের। মুম্বাইয়ের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী ওই মহিলা অ্যাকাউন্টনেটের সেইদিন অফিসের কাজ সারতে সারতে অনেকটা দেরি হয়ে গেছিল। তাই শেষ ট্রেনে চেপে ভাসাই স্টেশনে নেমে একা একা বাড়ির পথে হাঁটতে শুরু করে ওই মেয়েটি। আবার ওইদিন রাতেই ভারত বনাম সাউথ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ চলছিল।তাই রাস্তাঘাট ছিল একদম ফাঁকা।আর তারই সুযোগ নেই সন্দীপ খোটে নামক ৭ ফুট উচ্চতার এক নিকৃষ্ট অপরাধী। মেয়েটিকে একা পেয়ে তৎক্ষণাৎ তার সর্বনাশ করার প্ল্যান কষে ফেলে ওই ঘৃণ্য অপরাধী। মেয়েটিও বুঝতে পারে তাকে কেউ স্টেশন থেকে ফলো করছে,তাই মেয়েটিও জোরে হাটা শুরু করে দেই। আর তখনই দৌড়ে মেয়েটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সন্দীপ।

প্রথমে ওই মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে তার হাত দুটো হাটু দিয়ে চেপে ধরে সন্দীপ। আর তারপরেই ওই মেয়েটির মুখে একটা হাত চেপে ধরে সে, যাতে তারা আওয়াজ কেউ শুনতে না পায়।মেয়েটিকে যখন সে বাঘে এনে ফেলেছে,মেয়েটির জীবন শেষ করার লক্ষ্যে যখন সে সফল হতে যাচ্ছিল।তখনই সেখানে এন্ট্রি নেয় পথ কুকুরটি।শুধু এন্ট্রি নয়,ছেলেটিকে একেবারে জব্দ করে দেই আজকের গল্পের সুপার dog!

আসলে আমরা সবাই জানি,কুকুররা যে পরিমাণে বিপদের আঁচ বুঝতে পারে, তা হয়তো কোন মানুষ আগেভাগে টের পায় না।তাই মেয়েটির সাথে যে কোনো ঘৃণ্য অপরাধ হতে চলেছে,সাংঘাতিক কোনো বিপদ ঘটতে চলেছে বুঝতে পারে কুকুরটি।

আর তাই মেয়েটির সর্বনাশ করার জন্য সন্দীপ যখন নিজের টাউজার খোলা শুরু করে দেয়,তখনই সাংঘাতিক জোরে চিতকার করতে থাকে কুকুরটি।এমনকি এমন দৃশ্য দেখেই অপরাধী দিকে দৌড়ে ছুটে যেতে শুরু করে দেই ওই পথ কুকুরটি। কুকুরটির ওরকম ভয়ানক রূপ দেখে কিছুক্ষণের জন্য অন্যমনস্ক হয়ে যায় সন্দ্বীপ।আর তখনই মেয়েটি সজোরে লাথি মারে ওই অপরাধীকে।ফলে কিছুটা দূরে ছিটকে পরে সে। তবে আবারো মেয়েটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে সন্দীপ, কিন্তু ততক্ষণে মেয়েটি উঠে দাড়িয়ে পরে।এবং সন্দীপকে একটা সজোরে ধাক্কা মেরে, সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে এই ধস্তাধস্তি চলাকালীন মেয়েটির iphone ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত। পরের দিন মেয়েটি থানায় গিয়ে এবিষয়ে রিপোর্ট করে।এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।

 

আরো দেখুন:Basirhat:সন্দেশখালির ঘটনায় বসিরহাট মহকুমা আদালতের সিবিআইয়ের আধিকারিকরা!