লক্ষ ছেলের উচ্চশিক্ষা!আর ছেলেকে উচ্চশিক্ষা করানোর জন্য টোটো হাতে ধরেছেন মা।মায়ের কি কোনো সংজ্ঞা হয়?সেই কথা আবারও প্রমাণ হলো বাংলায়!আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো এক মায়ের জীবন যুদ্ধের কথা!যার লড়াইয়ের সংগ্রাম অবশ্যই অনুপ্রেরণা যোগাবে আপনাদের!

সন্তানের সুখ দুঃখের সাথী থাকেন একজন মা। সংসারে হাজার অভাব অনটন থাকলেও একজন মা তার সন্তানকে বটবৃক্ষের ছায়ায় যত্নে রাখেন। হ্যাঁ এই নিদর্শন আবারও ফুটে উঠলো বাংলায়।

৫৫ বছরের সুচিত্রা মুখার্জী ওরফে সবার প্রিয় ‘পুতুন দি’।আর পাঁচটা মহিলার মতো তিনিও ঘরের সব কাজ সামলানো থেকে শুরু করে অন্যান্য সব কাজ করে থাকেন।তবে তার গল্পঃ একটু হলেও আলাদা।কারণ তাঁর ছেলে অভিষেক মুখার্জীর উচ্চ শিক্ষার জন্য এই বয়সে টোটোর হ্যান্ডেল ধরতে হয়েছে তাঁকে।

একসময় পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন বাঁকুড়া শহরের সানবাঁধা এলাকার বাসিন্দা সুচিত্রা দেবী।তবে অর্থের পরিমাণ ছিল অনেক কম।তাই টোটো চালিয়ে সংসার চালানোর পরিকল্পনা করেন তিনি।২০১৫ সাল থেকে বাঁকুড়া শহরের লক্ষাতোড়া টোটো স্ট্যান্ডে দিনের পর দিন নিজের জরাজীর্ণ টোটোটি নিয়ে হাজির হন প্রায়দিনই। ঝড় জল উপেক্ষা করে টোটোতে যাত্রীবোঝাই করে শহরের এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে ছুটে বেড়ান সকলের প্রিয় পুতুন দি।

জানা গিয়েছে নতুন প্রজন্মের টোটো চালকরা সিনিয়র এই মহিলা টোটো চালকের কাছে বিভিন্ন টিপস অ্যান্ড ট্রিকস নেয়। শুধু তাই নয়, যাত্রীরা বিশেষ করে পুতুন দি’র জীবন যুদ্ধ দেখে অনুপ্রাণিত হন।

টোটো স্ট্যান্ডের টোটো চালকদের কথায়,-‘তিনিই হলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা টোটো চালক।’জীবন যুদ্ধের কোনরকম প্রতিবন্ধকতাকে অজুহাত নয়, পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শহরের এক প্রান্তে থেকে অন্য প্রান্তে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন সকলের প্রিয় পুতুন দি। নিজের সংসার ও সামলাচ্ছেন অন্যদিকে ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করছেন। জীবন যুদ্ধের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে অন্যান্য টোটোচালক থেকে শুরু করে পুতুন দির টোটোতে চড়া যাত্রীরাও।

 

 

 

আরো দেখুন:Imtiaz Ali: বিচ্ছেদের পর একসাথে হয়েছিলেন করিনা ও শাহিদ “জব উই মেট”এ