আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল্ড হতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কোনো সেলিব্রেটি, কেউই বাদ থাকেননা। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন সাহানা বাজপেয়ী (Sahana Bajpeyi)। যার গানের মাধুর্যে মুগ্ধ থাকেন দুই বাংলার মানুষ তাকেই ট্রোলড হতে হলো শেষ পর্যন্ত। শিল্পীর কণ্ঠে ‘জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে আজ’ গানটি শোনার পর সাহানাকে নিজের মন্তব্য পেশ করেছেন এক ব্যক্তি। তিনি লিখেছেন, ‘কিছু মনে করবেন না, একটা ৬.৩৮ মিনিটের গানে ২:০৮ মিনিট prelude বাজছে, এটা শুনলে কবিগুরু গীতবিতান ছুঁড়ে মারতেন। পারলে একবার জর্জ বিশ্বাস শুনে নেবেন।’

তার পোস্টের উত্তরও দিয়েছেন সাহানা বাজপেয়ী (Sahana Bajpeyi)। লিখেছেন, ‘কাকে ছুঁড়ে মারতেন? আমাকে? না না মনে কেন করবো? আপনি একদম সঠিক বলেছেন। গান শোনার এখন একটা সুবিধেও হয়েছে। আপনি না শুনতে চাইলে স্বচ্ছন্দে অন্য গানে চলে যেতে পারেন। রবীন্দ্রনাথ আমাকে গীতবিতান ছুঁড়ে মারতে চাওয়ার মতন একজন মহিলাকে এরকম ভায়োলেন্ট কথা বলতে হত না একটা গান গাওয়ার জন্য জনসমক্ষে। তবে আপনাকে চিনতে গেছিলাম আপনার প্রোফাইলে। আপনার এই বক্তব্যে আমি একেবারেই বিস্মিত নই আর। আর আমি পারলে কাকে শুনবো বা আমার গান শোনার পরিসর বিষয়ে আপনাকে মতামত না দিলেও চলবে। ধন্যবাদ।’

ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। উদাহরণস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি ৬.৩৮ মিনিটের একটি গানের জন্য ২.০৮ মিনিটের প্রিলিউড-সহ আমার “আজ জ্যোৎস্নারাতে” গানটি শুনতেন (অপ্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যাপক বুদ্ধদেব দাশের এসরাজে বাজানো) তবে তিনি হয়তো তাঁর গীতবিতানটি আমার দিকে ছুঁড়ে দিতেন। আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করা একমাত্র উদ্দেশ্য। আমি এই লোকটির প্রোফাইলে গিয়েছিলাম এবং মোটেও অবাক হইনি! তাই উত্তর দিলাম!’

সাহানার ভক্তদের মধ্যে এক ব্যক্তি লিখেছেন. ‘রবি ঠাকুর বোধহয় স্বপ্নাদেশ দিয়েছেন। আশ্চর্য রকমের সেলফ অবসেসড লোকজন আজকাল! সব জানি সব বুঝে গেছি আমি ই ঠিক প্রমাণে ব্যস্ত! আর মহিলা পাইলে তো কথাই নাই। ইগো স্যাটিসফাই করাটা যেন জরুরি হয়ে দাঁড়ায়! নামটা ঢাকলে কেন? খোঁচাতে এসেছে যখন পাবলিকের খোঁচা ওপেনলিই খাক।’

আরও পড়ুন: Kanchan-Sreemoyee: বিয়ের মাস ঘুরতে না ঘুরতেই কেনো কাঞ্চনকে ডিভোর্স দিতে চাইছেন শ্রীময়ী?

Image source-Google

By Torsha