কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mallick) এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ গত ২ মার্চ তাঁরা সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন। তাঁর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে করেছেন তাঁরা। ২৬ বছরের ছোট একজনকে তৃতীয়বারের জন্য বিবাহ করার জন্য কম কথা শুনতে হয়নি কাঞ্চনকে। তবে সেই নিয়ে বেশি পাত্তা দেননা নব দম্পতি। বিয়ের পর তাদের সুখের সংসারের ছবি ও ভিডিও মাঝে মধ্যেই সোস্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন তারা। ডিভোর্সের পর এক সাক্ষাৎকারে, কাঞ্চন প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা যায় পিঙ্কিকে।
তবে এবার আনন্দবাজারকে দেওয়া পিঙ্কির দেওয়া সাক্ষাৎকারের বিরুদ্ধে কাঞ্চন মল্লিক মুখ খুললেন। অভিনেতা-বিধায়ক বলেছেন, ‘আমার বাবা আমার কাছেই থাকুক। ওই যে ‘সৌম্যকান্তি’, ‘চায়ের পার্টনার’, এ সব বলা…, সেই বাবা যখন আদরের নাতিকে কোনও এক দশমীর দিন দেখতে চাইল, তাকে তো আনা গেল না! বাবার শেষ দিনের অসুস্থতায়ও ‘চায়ের পার্টনার’-এর দেখা নেই! সংসারটা ঠিক করে করলে এই আবেগ তৈরি হত। ঘাটকাজেও দেখা মেলেনি!’
একই সাক্ষাৎকারে কাঞ্চনের মন্তব্য, ‘আবার বলছি, আমার বাবা-মা আমার কাছেই থাক। আর সাতাশ বছর ধরে বাবা অন্ধ ছিলেন না। ভুল তথ্য। বত্রিশ বছর। আমার বাবার সম্পর্কে কেউ ভুল বললে গায়ে লাগে। আমাদের বিচ্ছেদ উভয়ের সম্মতিক্রমে হয়েছে। আচমকা এক দুপুরে বা লকডাউনে পিঙ্কিকে বিচ্ছেদের নোটিস পাঠাইনি’।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে কাঞ্চনের বাবাকে নিয়ে পিঙ্কি বলেছিলেন, ‘হয়তো সেই মানুষটার সঙ্গে দেখা হবে বলেই আমাদের বিয়েটা হয়েছিল। তিনি কাঞ্চনবাবুর বাবা, কার্তিক মল্লিক। তিনি যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনই সুন্দর ভালো ব্যবহার, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, বড় মনের মানুষ। কী সৌম্যকান্তি ব্যক্তি।
২৭ বছর ধরে অন্ধ ছিলেন। ২৭ বছর ধরে চোখে দেখতে পান না, তাও একটা দিন লাঠি ধরেননি। উনি ছিলেন আমার চা-কফি খাওয়ার ব্যক্তি। আমার বাড়িতে কেউ আমাকে কখনও ডাক নাম দেননি। কিন্তু আমার শ্বশুর মশাই দিয়েছিলেন। এত মৃদুভাষী ছিলেন যে প্রথমে মনে হয়েছিল ডাকছেন গিনি। পরে বুঝতে পারলাম ডাকছেন বিনি। কি না, বিনা সুতোয় মালা বাঁধতে পারে।’
আরো পড়ুন: Arvind Kejriwal:৯৭ লাখের পর্দা!৩ কোটির মার্বেল!অরবিন্দ কেজরীবালের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?
Image source-Google