মারা গেলে যে আর্থিক সহায়তা পায় একজন হত দরিদ্র কৃষক সেই টাকাতেও ভাগ বসাচ্ছে মোটা মাইনের সরকারি আধিকারিকরা।এমন কাণ্ড দেখে অবাক হতে হবে আপনাকেও। বুঝতে পারছেন কোথায় বাস করছেন?ভাবুন একবার মারা যাবার পরও কী শান্তি পাওয়া যাবে?ফের গরিবদের ওপর জুলুম এবং অমানবিকতার হদিস পাওয়া গেলো মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকে।

সূত্র মারফত খবর,বামন গোলা ব্লকের মদনাবতি অঞ্চলের বাসিন্দা কৃষক রশিদা বিবি এক বছর আগে মারা যান।তার স্বামী নুরুদ্দিন সরকার কৃষক বন্ধু মৃত্যু সহায়তা প্রকল্পে আবেদন করেন।গত সপ্তাহে তার একাউন্টে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। আবেদনকারী নুরুদ্দিন সরকারের ভাস্তা গোলাম রসুল তাকে জানান এই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার পর কিছু টাকা ও কৃষি দপ্তরকে দিতে হয়।

গোলাম রসুলের কথা মতো নুরুদ্দিন বাবু তাকে ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে দেন। আবেদনকারীর ভাস্তা ব্লক কৃষি আধিকারিককে জানান, আমার কাকা এখনো কোনো টাকা পাননি। পরবর্তীতে ওই কৃষি আধিকারিক আবেদনকারীকে দপ্তরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্লক কৃষির অধিকর্তা জানতে পারেন গোলাম রসুলের ত্রিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা। এই ঘটনা জানার পরেই কৃষি আধিকারিক গোলাম রসুলের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আবেদনকারী নুরুদ্দিন সরকারের হাতে তুলে দেন।পাশাপাশি ব্লকের সমস্ত কৃষকদের সতর্ক করেন যাতে কেউ দালালের খপ্পরে না পড়ে।

কিন্তু এখন একটাই প্রশ্ন,হত দরিদ্রদের টাকা কতদিন এইভাবে ছিনতাই করবে প্রভাবশালী মানুষরা?আর কতদিন এইভাবে জুলুম চলবে গরিবদের ওপর?কেনো সঠিক ন্যায় পেতে প্রভাবশালীদের ক্ষমতার শিকার হতে হয়?

 

আরো দেখুন:Weather Update: শীতের আমেজে ভরপুর বঙ্গ!