নদীর চর দখল করে অবৈধ নির্মাণ!মনুষ্য কার্যকলাপে গতি বদল ইছামতির!আশঙ্কায় এলাকাবাসী!নির্মাণ বন্ধের অভিযোগ দায়ের মহকুমা শাসক দপ্তরে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দিয়ে বয়ে গিয়েছে কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের নদী ইছামতি। তবে বর্তমানে সেই নদীর নব্যতা যেমন হারাচ্ছে, তেমনই ঘটছে চরিত্রের বদলও। ফলে এক পাড় ভাঙছে, আর এক পাড় গড়ছে। আর ঠিক সেই সুযোগেই বসিরহাটের রেজিস্ট্রি অফিস মোড় চত্বরে ইছামতির চর দখল করে ঝাঁ চকচকে চারতলা বিল্ডিং বানাচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে বসিরহাট এলাকা যে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে তা আর বুঝতে বাকি নেই কারোর।
শহরের প্রাণকেন্দ্র ওই এলাকায় রয়েছে একাধিক সরকারি দপ্তর-সহ প্রচুর দোকান-পাট। পাশাপাশি একদিকে রয়েছে ইটিন্ডা রোড অন্যপ্রান্তে রয়েছে টাকি রোডের সংযোগস্থল। এই এলাকা দিয়েই সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। তবে, গগণচুম্বী এই নির্মাণগুলি নদীর চরে গড়ে ওঠায় এক প্রকার চিন্তার ভাঁজ এলাকাবাসীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা নদীর চরিত্র পরিবর্তন, অবৈধ নির্মাণ ও নদীর বাস্তুতন্ত্র নষ্টের মতো ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন বসিরহাটের মহকুমা শাসকের দপ্তরে।
যদিও অবৈধ বিল্ডিং নির্মাণ যিনি করেছেন, সেই ভোলা ঘোষ ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি।
আপাতত বসিরহাটের বাসিন্দারা চাইছেন, পরিবেশকে বাঁচাতে, ইছামতি নদীকে বাঁচাতে। না হলে বসিরহাট শহর যে কোনো সময় নে জলের তলায় চলে যাবে সে আন্দাজ প্রায় সকলেই করতে পারছে। তাই অবিলম্বে এই বে-আইনি কাজ বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছেন তারা।