রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক ডায়েরি সামনে আসছে। প্রাথমিকভাবে এই মামলায় সামনে এসেছিল ‘মেরুন ডায়েরি’। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের থেকে মিলেছিল সেই ডায়েরি। জানা গিয়েছে, সেই ডায়েরিতে নাকি ছিল এই দুর্নীতির আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত অনেক তথ্য। এদিকে ইডির দাবি, অভিজিতের কাছ থেকে আরও তিনটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। আর সেই সব ডায়েরিতেও রয়েছে প্রচুর তথ্য। এদিন অভিজিৎ দাবি করেছেন, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশেই তার মা এবং স্ত্রীকে সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল।
অন্যদিকে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আরও একটি ডায়েরি মিলেছে। যে ডায়েরিতে দুর্নীতির চাল, আটা কেনার হিসেব রয়েছে। কত টাকা দিয়ে সেই সব খাদ্য দ্রব্য কেনা হত, তাও উল্লেখ রয়েছে। এমনকি, কোন কোন ব্যবসায়ীকে সেই দুর্নীতির চাল, আটা বিক্রি করা হয়েছে, তাও লেখা রয়েছে সেই ডায়েরিতে। এছাড়া, একাধিক প্যাকেজিং সংস্থার নামও রয়েছে সেই ডায়েরিতে।
জানা গিয়েছে, জেরার মুখে ওই ব্যবসায়ী মেনে নিয়েছেন যে এক দশক ধরে বে-আইনিভাবে তিনি চাল, আটা কিনে তা বিক্রি করতেন। রেশন দ্রব্য কেনা বেচার কোনও লাইসেন্সও তার নেই। এদিকে এই ডায়েরিতে যাদের নাম রয়েছে, তাদের নিয়ে তদন্তে নেমেছে ইডি। এছাড়া সেই ডায়েরিতে ‘মাসোহারা’ দেওয়ার হিসাব রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অবশ্য, ওই ডায়েরিতে লেনদেনের যে হিসাব রয়েছে, তাতে কারোর কোনও স্বাক্ষর নেই। তাই এই ডায়েরিকে প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না বলেও মনে করছেন অনেকে। তবে এও সত্যি যে, তদন্তের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে এই সব ডায়েরির পাতা।