পুরীর মন্দিরে প্রবেশেরে ক্ষেত্রে নানা নিয়ম। মন্দিরের ভিতরে কোনও বিগ্রহে স্পর্শ করার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।এবার দর্শনার্থীদের জামাকাপরের উপরও কড়াকড়ি চালু হল। নতুন নিয়ম একনজরে দেখে নিন।

কোনও অশোভনীয় পোশাক পরে মন্দিরে ঢোকা যাবে না। সম্পূর্ণ শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে। ছেঁড়া জিন্স, হাফ প্যান্ট বা স্কার্ট পরে সমুদ্র সৈকতে ঘোরা গেলেও সেই পোশাক পরে জগন্নাথ মন্দিরে আসা যাবে না। পরা যাবে না যে কোনও স্লিভলেস ড্রেসও। তবে ১২ বছর বয়সি বা বয়স তার কম হলে এই পোশাকবিধি মানতে হবে না। ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর থেকে সেবায়েতদের পোশাক বিধিও চালু করা হয়েছিল। পুজোর সময় তাঁদের ধুতি, তোয়ালে, পাট্টা পরতে হয়। এবার ভক্তদেরও জন্যেও পোশাক বিধি।

আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য নতুন পোশাকবিধি প্রযোজ্য হবে। সেই নিয়ম যাতে ঠিক ভাবে পালন করা হয়, তা নিশ্চিত করবেন কর্তৃপক্ষ। কোনও ভাবেই মন্দিরে ছেঁড়া জিন্স, হাতাকাটা জামা অথবা হাফ প্যান্ট পরা অবস্থায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি চালানো হবে। শুধু এই প্রথম নয়! আগে থেকেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি ছিল পুরীর মন্দিরে। জতো, ছাতা, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং চামড়ার জিনিসপত্র নিয়ে কোনওরকম নেশা করা নিষিদ্ধ জগন্নাথ মন্দির চত্বরেরান্না করা খাবার নিয়ে যাওয়া যায় না। মন্দির প্রাঙ্গণ কোনওভাবেই নোংরা করা যাবে না। উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের একাধিক হিন্দু মন্দিরে গত কয়েক মাসে এই ধরনের পোশাকবিধি চালু হতে দেখা গিয়েছে।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মথুরায় রাধারানি মন্দিরে ও উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দিরেও পোশাক নিয়ে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। যদিও কেউ ভুল করে ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরে আসেন তাঁরা চেঞ্জ রুমে ড্রেস বদলাতে পারেন। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে ‘ভক্তদের পোশাক নিয়ে অভিযোগ এবং আপত্তি আসছিল। হাজার হাজার ভক্ত আসেন জগন্নাথ দর্শনে। সেক্ষেত্রে ড্রেস কোড চালু করাটা অত্যন্ত দরকার। সভ্য পোশাক না পরে মন্দিরে আসা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এ জিনিস মন্দিরের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। আমাদের জগন্নাথধাম একটি পবিত্র স্থান। যে কিছু জামাকাপড় পরে সমুদ্র সৈকতে ঘোরা যায়, কিন্তু মন্দিরে প্রবেশ করা যায় না। আপাতত সংবাদমাধ্যম ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের পোশাকবিধি সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে।

 

আরো দেখুন:Mamata Banerjee:জানেন এবার রাজ্যের সকল মহিলাদের স্মার্টফোন দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?কাদের জন্য এত বড় উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার?