সরকারি হোক কী বেসরকারি, যে কোনো কাজে এবার থেকে একমাত্র নথি হিসাবে ব্যবহার করতে হবে জন্ম শংসাপত্র। সম্প্রতি এমনই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যার ফলে এবার থেকে ভোটার তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে আধার কার্ডের আবেদন, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে সরকারি চাকরি, সবক্ষেত্রেই জন্ম শংসাপত্রকেই একমাত্র নথি হিসেবে গণ্য করা হবে। আগামী ১লা অক্টোবর থেকেই জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত জাতীয় ও রাজ্যস্তরে তথ্য ভাণ্ডার তৈরির করার কাজ কার্যকর হবে বলে সূত্রের খবর।

গত বাদল অধিবেশনেই বিলটি পাস করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। এবার সেই আইনই কার্যকর হতে চলেছে। এই সংশোধনীর ফলে ভারতীয়দের জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য আরও নিখুঁত ভাবে সরকারের হাতে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ এমনকি, এর সরকারি সুযোগ-সুবিধা বিতরণের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা আসবে বলেও লোকসভায় বিলটি পেশ করে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই৷ অন্যদিকে বর্তমান বিলে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেটের সাহায্যে পরীক্ষায় বসা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্কুল-কলেজে ভর্তি হওয়া, সরকারি চাকরি, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার লিস্টে নাম তোলার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ, পাসপোর্টের জন্য আবেদন, ম্যারেজ সার্টিফিকেট-সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে নানান কাজে গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে এই ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেটকে গণ্য করা হবে।

উল্লেখ্য, ভারতের অনেক নাগরিকের কাছেই জন্ম শংসাপত্র বা বার্থ সার্টিফিকেট নেই। বহু শিক্ষিত মানুষ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডকে জন্ম শংসাপত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এবার তাদেরকেও নতুন করে ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তার দাবি, এই সিদ্ধান্ত গরিবের স্বার্থ বিরোধী। এইভাবে ঘুরিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত বদলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এবং সাধারণ মানুষের আরও উপযোগী করে তুলতে এই আইনটি সংশোধন করা হয়েছে৷

 

আরো দেখুন:Bankura:লৌকিক দেবী মনসার আরাধনায় মাতলো বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির বালিডিহা গ্রাম