আকাশ-ই শেষ সীমা নয়!মহাকাশ ফুঁড়তে পাঁচটি নয়া পরিকল্পনা ইসরোর (ISRO)!কোন্ কোন্ মিশন রয়েছে সেই তালিকায়?কবে শুরু হবে অভিযান?জেনে নিন,ইসরো-র ঝুলিতে কী কী চমক রয়েছে!
চাঁদকে ছোঁয়ার স্বপ্ন ব্যর্থ হয়েছিল আগে একবার, তাও হাল ছাড়েনি ইসরো। ২০১৯ সালের পর আবার ২০২৩ সালে চন্দ্রাভিযানে নেমেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। চন্দ্রযান-২ এর পর চন্দ্রযান-৩ প্যেছে সাফল্য। আর এরপরই চাঁদের পাশাপাশি আর কোথায় কোথায় যান পাঠাতে চান তাঁরা সে কথাই ঘোষণা করলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। উল্লেখ্য, এই অভিযান সফল হওয়ায় ভারত প্রথম দেশ হিসেবে চন্দ্রের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান অবতরণ করাল। আর সেই সাথে চাঁদে সফল অভিযান চালানো দেশগুলির তালিকায় সামগ্রিকভাবে চতুর্থ স্থান অধিকার করল ভারত। ইসরোর পরবর্তী অভিযানগুলির অন্যতম হল- গগনায়ন, আদিত্য এল-১, লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন, মঙ্গলায়ন ২ এবং শুক্র মিশন।
• মিশন গগনায়ন: (হেডার)
রাশিয়া-আমেরিকার মতো মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারতও। ২০১৮-র ১৫ই অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘গগনায়ন’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিন ধাপে এই অভিযান কার্যকর হবে বলেই জানা গিয়েছে। প্রথম দুই ধাপে মানববিহীন মহাকাশযান যাবে। তার মধ্যে প্রথম ধাপে সাফল্য পেলে, দ্বিতীয় ধাপে মহাকাশযানে রোবট যাবে। রোবটের নাম ‘ব্যোম মিত্র’। শেষ ধাপে যেতে পারেন তিন মহাকাশচারী। ২০২৪-এর গোড়ায় এই অভিযান শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
• মিশন আদিত্য-L1: (হেডার)
চাঁদের পাশাপাশি, সূর্য নিয়েও গবেষণা করতে চায় ইসরো। এজন্য আদিত্য-L1 স্যাটেলাইট পাঠাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। যা সূর্যের ল্যাগরানগিয়ান পয়েন্ট-১ এর কাছে কক্ষপথে অবস্থান করবে। করোনার বাড়াবাড়িতে প্রকল্পটি পিছিয়ে যায়। যদিও তার আগেই ৩৭৮.৫৩ কোটি টাকা এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে।
• মিশন লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন: (হেডার)
জাপানের সহযোগিতায় হতে চলেছে এই চন্দ্রাভিযান। জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা জাক্সা এবং ইসরোর মিলিত উদ্যোগে হবে এই অভিযান। এ জন্য রোভার এবং ল্যান্ডার তৈরি হচ্ছে দুই দেশের সহযোগিতায়। নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রযুক্তি এবং যন্ত্রাংশও ব্যবহৃত হবে এই অভিযানে। চাঁদে জলের খোঁজ, যান চলাচল এবং রাত্রিযাপন সম্ভব কিনা, তা জানা হবে এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
• মিশন মঙ্গলায়ন-২: (হেডার)
ফের মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠাতে চায় ইসরো। এবারের মহাকাশযানে হাইপারস্পেকট্রাল ক্যামেরা এবং র্যাডার থাকবে। অবশ্য, কবে এই অভিযানের কাজ শুরু হবে, তা এখনও অজানা।
• মিশন শুক্র: (হেডার)
মঙ্গলের পর শুক্র গ্রহেও অভিযান চালাবে ইসরো। প্রকল্পের সম্ভাব্য নাম, শুক্রযান। প্রাথমিকভাবে ২০২৪ সালে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরে তা পিছিয়ে ২০৩১ সাল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আপাতত সূর্যের পথে পাড়ি দেওয়ার কথাই ভাবছে ইসরো। আদিত্য L1 নামে ওই উপগ্রহ ল্যাগরেঞ্জিয়ান পয়েন্ট তথা সূর্য ও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ থাকে না সেই জায়গা পর্যন্ত পাঠানোর কথা ভাবছে ইসরো। জানা গিয়েছে, আসন্ন ২ ও ৩রা সেপ্টেম্বর উপগ্রহ পাঠানো হবে। আর তার কাজই চলছে এখন। অন্যদিকে, চাঁদের রোভার প্রজ্ঞানের তরফ থেকে নতুন কি তথ্য আসে, তারই অপেক্ষায় বিজ্ঞানীরা।
আরো দেখুন:Temple:আর তারাপীঠের মন্দিরে দর্শন মিলবে না মা তারার!কারণ জানালো মন্দির কর্তৃপক্ষ