মমতার সিলেকশন,একুশের মঞ্চ কাঁপানো রাজন্যার বিদ্যের দৌঁড় কত জানেন?শহিদ সভায় নজরকাড়া তরুণ তুর্কি আসলে কে?শুনলে চোখ উঠবে কপালে!

হঠাৎ তৃণমূলের একুশের শহীদ দিবসের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছেন ছাত্রনেত্রী রাজন্যা হালদার।বর্তমানে যে যাদবপুরে ব়্যাগিংয়ের কারণে উত্তাল রাজনীতি,সেই যাদবপুরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নতুন সভাপতির দায়িত্বে পেয়েছেন রাজন্যা হালদার।তবে তরতাজা এই যুবতী ছাত্রনেত্রীকে এর আগে সেই ভাবে কেউ চিনতেন না বললেই বলা যায়।তবে যে একুশের মঞ্চে বক্তব্য রাখার জন্য মুখিয়ে থাকেন রাজ্যের তাবর তাবর নেতারা,যে মঞ্চে বক্তব্য রাখার ইচ্ছে থাকলেও সুযোগ পাওয়া যায় না,সেই মঞ্চেই এবার বক্তব্য রাখার জন্য রাজন্যাকে সুযোগ করে দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় একের পর এক ক্ষুরধার ভাষণে কেন্দ্র সরকার এবং বিজেপিকে আক্রমণ করতে শুরু করেন রাজন্যা। তার বক্তব্য একুশের মঞ্চে থাকা নেতা এবং শ্রোতাদের মন একনিমেষে কেড়ে নেয়। যদিও পরবর্তীতে ডায়লগ চুরি করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সেই সকল অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজন্যা। পাশাপাশি যারা এই ধরনের অভিযোগ এনেছিলেন তাদের সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানান, ‘স্লোগান কারো ব্যক্তিগত ফ্রাঞ্চাইজি হতে পারেনা’। রাজন্যার এমন ক্ষুরধার বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর এখন অনেকের মধ্যেই কৌতুহল তৈরি হচ্ছে, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতদূর!কেনোই বা একুশের মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ তাকে করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?এখন সবার মুখে মুখে এই প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে,দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা রাজন্যা হালদার।রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে পা রাখেন ২০১৭ সালে।পড়াশোনার পাশাপাশি এই মুহূর্তে রাজন্যা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল ছাত্র যুব সংগঠনের সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন।হঠাৎ করেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন রাজন্যা এমন নয়।বরং তিনি রাজনৈতিক পরিবেশ থেকেই উঠে আসা একজন যুবতী।রাজন্যার দাদু এবং বাবা দুজনেই ছিলেন কংগ্রেস নেতা।তার বাবা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।তবে প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র নির্বাচনে তিনি দু’বার জয়ী হন নির্দল প্রার্থী হিসেবে।পরবর্তীতে রাজনৈতিক মতাদর্শ বদলায় এবং তৃণমূলে যোগ দেন।তার হাত ধরেই প্রেসিডেন্সিতে গড়ে ওঠে ছাত্র পরিষদের সংগঠন এবং তখন থেকেই তিনি আলাদাভাবে পরিচিতি লাভ করেন।

রাজনীতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকা পরিবার থেকে উঠে আসা রাজন্যা অবশ্য পড়াশুনোই তুখোড়। রাজনীতির ক্ষেত্রে তার যেমন নাম ডাক রয়েছে ঠিক সেই রকমই ভালো পড়াশোনার জন্য তার নাম ডাক রয়েছে চারদিকে। রাজন্যা তার প্রাথমিক শিক্ষা কলকাতায় শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন প্রেসিডেন্সিতে। সেখানেই পিএইচডি করছেন এবং বাংলা বিভাগেও গবেষণার কাজ করছেন।

রাজনীতি, পড়াশুনোর পাশাপাশি আবার রাজন্যার আরও এক পারদর্শিতা রয়েছে সংগীত চর্চায়। তিনি একজন সুকন্ঠি হিসাবেই পরিচিত। তার নিজস্ব গান বাজনার জন্য ব্যান্ড রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জয়ী ব্র্যান্ড তৈরি করেছিলেন তার একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাজন্যা হালদার।

 

 

আরো দেখুন:Durgapuja:খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে হাতিয়ারা উত্তরমাঠ জামতলায় শুরু দুর্গোৎসবের কাউন্টডাউন