১৮ই অগাস্ট সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে মালদা জেলার স্বাধীনতা দিবস!কিন্তু কেন ১৮ই অগাস্ট?জানতে চোখ রাখতে হবে অতীতের হলুদ পাতায়!
দিনটা ১৯৪৭-এর ১২ই অগাস্ট, আচমকা ব্রিটিশ গভর্নর লর্ড মাউন্টব্যাটেন ঘোষণা করেন, স্বাধীন দেশ হবে ভারত ও পাকিস্তান। তারপর আসে ১৫ই অগাস্টের সেই বৈপ্লবিক মুহূর্ত। অবসান হয় ব্রিটিশ যুগের। তবে শোনা যায়, এই সিদ্ধান্তের আগেই নাকি তৈরি হয় স্বাধীন দেশের মানচিত্র। দুই দেশের সীমান্তরেখা তৈরি করেন সাইরিল ব়্যাডক্লিফ। অভিযোগ, ব়্যাডক্লিফের সেই বিখ্যাত সীমান্তবর্তী লাইনে বেশ কিছু ত্রুটি থাকার কারণে বাংলার এখনও অনেক জেলায় ১৫ই অগাস্টে পালিত হয় না স্বাধীনতা দিবস। কি অবাক হচ্ছেন? আসলে এর পিছনে লুকিয়ে আছে দেশভাগের ইতিহাসের এক গল্প।
১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস হলেও, ভারতের বেশ কয়েকটি জেলা তাদের স্বাধীনতা পায় ১৮ই আগস্ট। আর তাদের মধ্যে একটি হল মালদা জেলা। তাই আজও ১৮ই আগস্ট দিনটিই স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে মালদা জেলা। শুক্রবার এই স্বাধীনতা দিবস পালনের ছবি নজরে এল মালদা জেলা গ্রন্থাগারের বই বাগানে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন-সহ নানান দেশাত্মবোধক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করলেন মালদার সংস্কৃতি প্রেমী, শিল্পী, সাহিত্যিক-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট ভারত স্বাধীন হলেও ভাগাভাগির নিরিখে পূর্ব পাকিস্তানের অধীনে পড়েছিল মালদা, নদীয়া-সহ বেশ কয়েকটি জেলা। ১৪ই অগাস্ট মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনে তোলা হয় পাকিস্তানের ঝান্ডা। এরপর জেলার স্বাধীনতার সংগ্রামী এবং অগুণিত মানুষ এর বিরোধিতা করে আইনি লড়াই লড়েন এবং অবশেষে ১৭ই অগাস্ট ঘোষণা করা হয় ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হবে মালদা জেলা-সহ বেশ কয়েকটি জেলাকে। গোটা দেশে ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে গত মঙ্গলবার। কিন্তু আজ, এ রাজ্যেরই কয়েকটি প্রান্তে উত্তলিত হল জাতীয় পতাকা। বিভিন্ন সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে এই দিনটি।এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা গ্রন্থাগারের সচিব প্রসেনজিৎ দাস-সহ অন্যান্যরাও।