পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য যে সকল জনদরদী প্রকল্প চালু করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন এবং তৃতীয়বার সরকারে এসেই এই প্রকল্প চালু করেন তিনি। আর এরপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিমাসে সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা করে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া শুরু হয়। এই প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় থাকলেও, এখনও এই প্রকল্প পুরোদমে চলছে। তবে কিছু কিছু এমন মহিলাও রয়েছেন যাদের টাকা আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

মূলত, বেশ কিছু ছোট্ট ছোট্ট ভুলের কারণে তাদের এমনটা হয়েছে। আসলে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে এবং সেই শর্তের মধ্যে কোনো একটি শর্ত পূরণ না হলে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। আগস্ট মাসের ৪ থেকে ৫ তারিখের মধ্যেই এই প্রকল্পের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে ধাপে ধাপে টাকা দেওয়ার ফলে টাকা দিতে অনেক সময় মাসের ১৫ তারিখও পেরিয়ে যায়। আবার অনেকেই রয়েছেন যাদের টাকা কোনো না কোনো নথির অভাবে আটকে গিয়েছিল এবং তারা সেই নথি পরে সংশোধন করে দেওয়ায় এক সঙ্গে বকেয়া টাকা মিলিয়ে ২-৩ হাজার টাকাও পাচ্ছেন। তবে, যে সকল মহিলারা এখনো পর্যন্ত তাদের নথির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিতে পারেননি বা সরকারের তরফ থেকে বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ করতে পারেননি তাদের টাকা আটকেই যাবে। কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে? আসুন আরও একবার জেনে নেওয়া যাক……

 

• আবেদনকারীর বয়স ২৫-৫৯ বছর হতে হবে।

• আবেদনকারী মহিলার নামে বা পরিবারের একটি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে পরিবারের একজন মহিলাই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।

• লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে আবেদনকারীর নিজস্ব সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

• ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে আধার লিঙ্ক।

• বিধবা ভাতা বাদে অন্য কোনো সরকারি প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পেলে এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন না ওই মহিলা।

• যে পরিবারের মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পেতে চাইছেন সেই পরিবারের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী যদি আয়কর দেন তাহলে ওই পরিবারের মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।

• মহিলারা পাব্লিক ফান্ডে সামান্য উপার্জনের চাকরি করে থাকলে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু অঙ্গনওয়ারি, আশাকর্মী, সিভিক ভলেন্টিযার হলে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন না।

তাই আপনার টাকা যদি হঠাৎই আটকে যায়, তাহলে ঝটপট মিলিয়ে দেখে নিন আমাদের বলা এই সমস্যার কোনোটির সাথে আপনার মিল নেই তো।

 

 

আরো দেখুন:Purba Medinipur:মেচেদা থেকে উদ্ধার ৪০ কেজি গাঁজা!গ্রেফতার ৫