এ এক অভিনব প্রতারণা!চোখের ডাক্তারের কীর্তিতে তাজ্জব গোটা মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা!গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারের অভিনব প্রতারণার খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ নিরীহ মানুষেরা। গ্রামের মানুষদের বোকা বানিয়ে ওষুধের নির্ধারিত মূল্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে ক্রমাগত মানুষদের ঠকিয়ে চলেছিলেন এলাকারই এক হাতুড়ে ডাক্তার। চোখের চিকিৎসা করার নামে চোখে ড্রপ দিয়ে চোখ ঝাপসা করে ওষুধের দাম মার্কার পেন দিয়ে বাড়িয়ে রোগীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা বেশি নিচ্ছিলেন এলাকারই এক হাতুড়ে চিকিৎসক এমনটাই অভিযোগ উঠেছে এলাকার বাসিন্দাদের তরফে। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই হাতুড়ে ডাক্তারের নামে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামের বাসিন্দা তথা হাতুড়ে ডাক্তার বাবলু চক্রবর্তী চোখের চিকিৎসা করার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। জানা গিয়েছে, যে সব রোগী তার কাছে আসেন তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চোখের ড্রপ তার কাছেই কিনতে হয়। এক্ষেত্রে তিনি রোগীর চোখে ড্রপ দিয়ে রোগী চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করলে মার্কার পেন দিয়ে ওষুধের নির্ধারিত মূল্য বাড়িয়ে ২৭ টাকা মূল্যের চোখের ড্রপ ১২৭ টাকা, ৮৬ টাকার চোখের ড্রপ ১৮৬ টাকা ও ৯২ টাকার ওষুধের মূল্য ১৯২ টাকা নিতেন। এমনই প্রতারণার শিকার হলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা তথা দুই ভাই রতন সিং ও সন্তোষ সিং।

এমন ঘটনা জানাজানি হতেই চিকিৎসকের বাড়িতে ছুটে যান এলাকার বাসিন্দারা। এরপর ওই চিকিৎসকের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরপরই ওই চিকিৎসকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকজন রোগী এবং তাদের আত্মীয়রা। অবশেষে বাধ্য হয়ে ওই চিকিৎসক নিজের ভুল স্বীকার করেন।

সূত্রের খবর,ইতিমধ্যেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রতন সিং। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

 

আরো পড়ুন:TMC:ভোট মিটতে না মিটতেই শুরু দল বদল!নির্দল প্রার্থী-সহ তৃণমূলে যোগদান কয়েকশো সমর্থকদের