ছবির শুটিংয়ের পর থেকেই “শিবপুর” ছবিটি নিয়ে ঝামেলা লেগেই আছে। কখনও পরিচালককে না জানিয়ে সিনেমায় গান জুড়ে দেওয়া হয়েছে, আবার কখনো বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক সিন। সেটাও পরিচালককে না জানিয়েই।
শুধু তাই নয়, এই ছবির পূর্ব প্রযোজক ছবির মুখ্য অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে (Swastika Mukherjee) হুমকি দিতে থাকেন যে তার ছবি মর্ফড করে ছড়িয়ে দেওয়া হবে পর্ন সাইটে। এসব নানা কারণে ছবির প্রিমিয়ারে দেখা মেলেনি স্বস্তিকার।
তবে সম্প্রতি টিকিট কেটেই এই সিনেমা হলে দেখতে গিয়ে আরো মন ভেঙে যায় অভিনেত্রীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন স্বস্তিকা (Swastika Mukherjee)। অভিনেত্রী লেখেন, ‘কীভাবে পরিচালক আর প্রযোজক এর ইগোর লড়াইয়ে একটা ছবির চোদ্দটা বাজতে পারে শিবপুর তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
পরিচালক বাদ পড়লেন, প্রযোজক অজন্তা সিংহ রায় কোথা থেকে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হয়ে গেলেন জানিনা। একদিন শ্যুটিঙে এসেছিলেন কেক কাটতে, ছবির শেষ দিনে, তা ছাড়া দেখিনি ওনাকে।তিনিও একটা গাল ভরা টাইটেল পেয়ে গেলেন।
টাকা লাগিয়েছেন যখন, যা ইচ্ছে করাই যায়। আমি জানি না কে বা কারা এডিটিংয়ে শটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদৌ এডিটর ও পরিচালক ছবির ভাগ্য নির্ধারণ করতে পেরেছে কিনা! আমি জানি না তবে কেই বা জানে?’
অভিনেত্রী লেখেন, ‘শুধু আমি নিশ্চিত করে এটাই বলতে পারি যে অসংখ্য শট নেওয়া হয়েছিল কিন্তু সীমিত সংখ্যক সিন রাখা হয়েছে। এতো শক্তিশালী একটা চিত্রনাট্য, এত ভালো অভিনয়, অসাধারণ ক্যামেরা ওয়ার্ক কিন্তু ওই কোথা থেকে কি হয়ে গেল জানা গেল না।
নতুন প্রযোজকরা নিশ্চয়ই আসবেন, এসে পরিচালক হয়ে ছবির গুষ্টির পিন্ডি চটকাবেন, এটাই আশংকাজনক। অহংকার আর দ্বন্দ্বই সবার উপরে জয়ী হোক। এইরকম অসাধারণ সৃজনশীল বোঝাপড়া এবং ইনপুট দিয়ে ফিল্মটি ধ্বংস করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ’।
আরও পড়ুন: Kiara Advani: বিয়ের পর শাশুড়ির মন হয় করতে কি করেছিলেন কিয়ারা?
Image source-Google