শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সন্ত্রাসবাদের পর এবার মিটিং-এ যেতে অস্বীকার করায় রাতের অন্ধকারে এক সিপিআইএম (CPIM) কর্মীকে বেধরকভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেল তৃনমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। যার জেরে শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিনগর গ্ৰামে।

অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১৩ নং আসনের তৃনমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মকর‌ম আলি ওরফে স্বপন আলি ও তার দলবল আহত সিপিআইএম কর্মী মজিবুল রহমানকে বেধড়ক মারধর করে। যদিও, মারধরের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন তৃনমূল। এই নিয়ে এদিন রাতে সিপিআইএম-এর নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এবং তৎক্ষণাৎ আহত মজিবুল রহমানের পরিবার স্বপন আলি-সহ চার জনের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় আলিনগর ১ নং বুথে তৃনমূলের বুথ মিটিং ছিল। তৃনমূলের কর্মীরা মিটিং-এ যাওয়ার জন্য মজিবুল রহমানকে ডাকতে আসেন এবং তখনই মিটিং-এ যেতে সরাসরি অস্বীকার করেন মজিবুল। আর এতেই তৃনমূলের কর্মীরা তার উপরে চড়াও হয়ে বেধরক ভাবে মারধর করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে তৃনমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী স্বপন আলি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং সেও মজিবুল রহমানকে মারধর করেন ও তার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করেন বলেও দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। তৃনমূলের দলবলের মারধরে ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সিপিআইএম কর্মী মজিবুল রহমান। এরপর পরিবারের লোকেরা তাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

 

আরো পড়ুন:Basirhat:ফের তৃণমূলে যোগদান বিজেপি-র দুই অঞ্চল সভাপতি-র!সন্দেশখালিতে আরও শক্তিশালী তৃণমূল