এবারও পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) প্রার্থী মাতঙ্গিনী হাজরার নাতি! প্রতিপক্ষ তৃণমূল থেকে বিজেপি দলত্যাগী রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত অঞ্চল প্রধান! এক চুল জায়গা ছাড়তে নারাজ সিপিএম! একপ্রকার শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ত্রিমুখী লড়াইয়ে শক্তিশালী তিন দল!
বলা হয়, শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক মানেই বিপ্লবীদের ঘাঁটি! এক সময় এই তমলুক এক ও দুই নম্বর ব্লক হিসেবেই পরিচিত ছিল। এমনকি, তৎকালীন তমলুক এক নম্বর ব্লকের বিডিও মহম্মদ ইগলাক হোসেনের ব্লক অফিসের নাম পরিবর্তে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক নামকরণের প্রস্তাবও পাঠায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কারণ, ব্লক অফিস থেকে ডিল ছোঁড়া দূরত্বেই মাতঙ্গিনী হাজরার জন্মভূমি এবং কর্মভূমি। আর তারপরই ১৯৯৮ সালে তমলুক এক নম্বর ব্লকের পরিবর্তে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক নামকরণ হয় এই এলাকার।
আর এবার ওই এলাকার ত্রি-স্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন বীর শহীদ মাতঙ্গী হাজরার শ্বশুর বাড়ির সম্পর্কের নাতি রাজেশ হাজরা। তবে, এবারই প্রথম রাজনীতিতে তাঁর আসা, তা কিন্তু নয়। বর্তমানে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও রাজেশ হাজরা।
প্রসঙ্গত, রাজেশের বাড়ির ওদুরেই অবস্থিত বিশালাকৃতির মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি, যা তিনি বাড়ি থেকে বেরোলেই প্রণাম করে বেড়োন। এদিনও ভোট প্রচারের শুরু করার সময়ও তার অন্যথা হয়নি! অন্যদিকে, তার বিপরীতে বিজেপি জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন বামদেব গুছাইত। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আর সেই ক্ষোভে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখায় বামদেব গুছাইত। এবার বিজেপির সিম্বলে জেলা পরিষদের প্রার্থী হন তিনি। বলা বাহুল্য, এলাকা উন্নয়ন ও দ্রুত কাজ করার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিমা প্যাটেলের হাত থেকে উন্নয়ন মূলক পুরস্কার পান বামদেব। তবে, এখন দেখার নির্বাচনে আদতে জয়ী কে হন!
আরো পড়ুন:Weather Update: শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া পরিবর্তন!