কৃষক পরিবারের ছেলে পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়ে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলো বাঁকুড়ার (Bankura) হামিরুদ্দিন মিদ্দা।
বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়!পেটের দায়ে একসময় ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন বাঁকুড়ার হামিরুদ্দিন মিদ্দা।আবার হাটে বাজারে মনোহারি দ্রব্য বিক্রি করতেন তিনি।বর্তমানে বাবার সাথে কৃষিকাজ করেন তিনি।কাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কলমকেও শক্ত হাতে ধরা ‘চাষীর ব্যাটা’ লেখক হামিরুদ্দিন মিদ্যা এবছর সম্মানিত হলেন জাতীয় সাহিত্য অকাদেমি যুব পুরস্কারে। তাঁর ‘মাঠরাখা’ গ্রন্থ’র জন্য এবছর সাহিত্য অকাদেমি যুব পুরস্কারে সম্মানিত হলেন ২৬ বছরের এই যুবক।
বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রূপপাল গ্রামের বাসিন্দা হামিরুদ্দিনের লেখার অভ্যেস বহুদিনের। হামিরুদ্দিন মিদ্যার লেখনীতে বহু দিন ধরেই মুগ্ধ পাঠকেরা। এর আগেও তাঁর ‘আজরাইলের ডাক’ গল্পগ্রন্থের জন্য ‘ইলা চন্দ স্মৃতি পুরস্কার’ ও কৃত্তিবাসের ‘সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় সম্মাননা’ পেয়েছিলেন হামিরুদ্দিন। ‘আজরাইলের ডাক’ বইটি দুটি বিদেশি ভাষাতেও অনুদিত হয়েছে। এরপরই ২০২২ সালে বইমেলায় প্রকাশিত হয় ‘মাঠরাখা’ গ্রন্থটি। দেশের ২০টি ভাষার ২০টি সাহিত্যিকের মনোনয়নের মধ্যে থেকে সেরা বলে নির্বাচিত হয় ‘মাঠরাখা’ বইটি। এরপরই এবছর সাহিত্য অকাদেমি যুব পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হল হামিরুদ্দিন মিদ্যাকে।
জানা গিয়েছে,’মাঠরাখা’ গ্রন্থ’-এ রয়েছে মোট ১৮টি গল্প। প্রকাশক সোপান।