‘আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে মেয়েকে’। চিকিৎসক তথা লেখিকা প্রজ্ঞাদীপা হালদারের (Prajnadipa Halder) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় লিভ ইন পার্টনারের দিকেই আঙুল তুললেন তাঁর মা। সেই সাথে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে প্রজ্ঞাদীপা হালদারের বিয়ে হয়। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। এরপর ব্যারাকপুরে সেনা হাসপাতালে কর্মরত কৌশিক সর্বাধিকারীর সাথে তার সম্পর্ক হয়। যদিও প্রজ্ঞাদীপা নিজেও পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। বারাসত ১নং ব্লক-এর অন্তর্গত ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনি কর্মরত ছিলেন। তবে, কোশিকের সাথে তার সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর ২০২০ সাল থেকে ব্যারাকপুরেই থাকতেন প্রজ্ঞাদীপা। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল! কিন্তু, হঠাৎ একদিন প্রজ্ঞাদীপা জানতে পারেন, কৌশিকের একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আর সে বিষয়ে প্রতিবাদ করলে প্রজ্ঞাদীপার উপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রজ্ঞাদীপা-র মায়ের কাছে ফোন আসে, মেয়ে সেনা হাসপাতালে ভর্তি।

ইতিমধ্যেই মা ঝর্ণাদেবী গোটা ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে ব্যারাকপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের তদন্তকারী পুলিশ কৌশিক সর্বাধিকারীকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, আজ তথা শুক্রবার বারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছিল কৌশিক সর্বাধিকারীকে এবং সেখানেই তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে।

 

আরো পড়ুন:IIT Kharagpur:ফের ছাত্র মৃত্যু,চাঞ্চল্য আইআইটি খড়গপুরে