মণিপুরে (Manipur) নিভছেই চাইছে না অশান্তির আগুন। বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সংরক্ষণের দাবি ও তার বিরোধিতা নিয়ে জনজাতিগুলির মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে।

শুক্রবারও রাজ্যে নতুন করে অশান্তি ছড়ায়। কার্ফু জারি থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত ও সংঘর্ষের খবর মেলে। ৪০০ থেকে ৫০০ রাউন্ড গুলিও চলে বিশুপুরের কাওয়াকতা ও চূড়াচন্দপুরের কাঙ্গভাই গ্রামে।

শনিবার দিনভরও অশান্তির খবর মিলেছে। রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিরোধী দলগুলির তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-র হস্তক্ষেপের দাবি করা হল।

অন্যদিকে, বিজেপি সরকার কয়েকদিনের মধ্যেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও অশান্তি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে, জোট ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি

মণিপুর (Manipur) অশান্তি-দাঙ্গা রুখতে গত মে মাসেই সেনা বাহিনী, অসম রাইফেলসের বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবারও মধ্য রাত অবধি ইম্ফলে সেনা, অসম রাইফেলস ও মণিপুর র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স যৌথভাবে টহল দেয়। তারপরই শুরু হয় অশান্তি।

ইম্ফলের হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন জায়গায় কয়েকশো ক্ষিপ্ত জনতা জমায়েত করে এবং ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। একাধিক জায়গায় গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটে। পশ্চিম ইম্ফলে একটি থানা থেকে অস্ত্র-শস্ত্র লুঠ করার চেষ্টাও করে বিক্ষোভকারীরা।

আজ রবিবার মণিপুরে পালিত হবে একতা দিবস। তবে অশান্তির কথা মাথায় রেখে কার্ফু জারি রয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।

এদিকে, সাম্প্রতিক অশান্তির উদাহরণ তুলে ধরে বিরোধীদের তরফে মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপের দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে, মণিপুরে বিজেপির জোটসঙ্গী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির তরফে জোট ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়েছে।