ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসএসকেএমে হাজির মুখ্যমন্ত্রী (Mamata)। সোমবার বিকেলে প্রায় ৪০ মিনিট ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ছিলেন তিনি।
শুধুমাত্র করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে নয়, খোঁজখবর নেন ট্রমা কেয়ার ভরতি অন্যান্য রোগীদেরও।
বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের সঙ্গে ডেকে কথা বলেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, বাংলায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ ওড়িশায় এখনও ১২০টি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের দেহ পড়ে রয়েছে। সেখানে বাংলার অনেকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর।
দুর্ঘটনার পর থেকে কার্যত দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির অভিভাবকের ভূমিকা পালন করছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata)। শনিবারই বাহানাগা স্টেশনে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। কথা বলেছিলেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে।
সেখানকার হাসপাতালে চিকিত্সাধীনদের সঙ্গেও দেখা করেন। ফের মঙ্গলবার কটক ও ভুবনেশ্বর যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন, ‘কটকে ৫৩ জনের চিকিত্সা চলছে। রাজ্যে ২০৬ জনের চিকিত্সা হচ্ছে। এখানকার রোগীরা ভাল আছে। ইতিমধ্যে রাজ্যে ৭৬টি মৃতদেহ আনা হয়েছে।’ মঙ্গলবার কটক থেকে ফেরার পথে সময় পেলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও আহতদের দেখতে যাবেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘কটকে ১২০টি অজ্ঞাত পরিচয় দেহ রয়েছে। সেখানে বাংলার অনেকে থাকতে পারে। কিছু দেহ তো তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। কিছু দেহ দেখে নিজে শিউরে উঠেছি। ডিএনএ টেস্ট করে দেখতে হবে কারা রয়েছেন।’
ফলে বাংলার মৃতের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।