কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Teacher recruitment scam case) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)। কিন্তু তদন্ত শেষ হবে কবে? সিবিআইকে বারবার আদালতের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এমনকি তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই মামলায় আদালতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাল সিবিআই। তদন্ত সংস্থার মতে, রাজসাক্ষী করার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু কে?
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। বেশ কিছু নাম উঠে আসে। সবাইকে গ্রেফতার করা হয়নি। অপরাধ কম, কিন্তু সিবিআই বলেছে যে দুর্নীতির বিষয়ে জানেন এমন কাউকে রাজসাক্ষীতে পরিণত করার প্রস্তুতি চলছে। কয়েকদিন আগে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে বিধায়ক সহ আরও বেশ কয়েকটি নথি পেশ করা হয়েছিল। মামলার শুনানিতে রাজসাক্ষী করার বিষয়টি উঠে আসে। সিবিআই, তার আইনজীবীদের মাধ্যমে বলেছে যে অপরাধের মাত্রা তদন্ত করার পরেই তারা সাক্ষ্য দেবে। পুরো বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।
তবে, সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে যে তুলনামূলক ভাবে যাদের অপরাধ কম এমন কাউকেই রাজসাক্ষী করা হবে। সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে চার্জশিট জমা দিয়েছে। আর এতে বেশ কিছু নাম রয়েছে। কিন্তু তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতে দেওয়া সিবিআই তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় আসেন সঞ্জয় মিশ্র। যিনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) প্রধান। কিছুদিন আগে কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে কালীঘাট থেকে গ্রেফতার করে ইডি (ED) । যিনি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। গ্রেফতারের পর থেকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ইডি হেফাজতে রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্য পেয়েছেন কর্মকর্তারা। নিয়োগ দুর্নীতিতে কালীঘাট থেকে কাকুকে গ্রেফতার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে ইডি প্রধান সঞ্জয় মিশ্রের কলকাতা সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার অর্থাৎ আজ তদন্তকারীদের সঙ্গে সঞ্জয় মিশ্রের বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি-র (ED) হাতে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির একাধিক হেভিওয়েট মামলা রয়েছে। এদিন সেগুলি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন:Malda:বড়সর সাফল্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের