ব্যারাকপুরের একটি সোনার দোকানে শুটআউট, মালিকের ছেলের মুহূর্তের মধ্যে খুনের ঘটনা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দেড় দিন কেটে গেলেও ভয় কাটেনি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের জন্য চলছে জোরদার তল্লাশি। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে তিনি তার নিরাপত্তা ছাড়তে চান। তিনি বলেন, “সাংসদ হিসেবে আমি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছি না আর আমি নিজে নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি!”

ব্যারাকপুরের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই জনকে। আটক আরও দুই। ডিসি সেন্ট্রাল, আশিস মৌর্য জানান, শফি খান এবং জামশেদ আনসারি। শফি খানকে খড়দহের রহড়া থানা এলাকায় গ্রেফতার করা হয়। বীরভূমের মুরারই থেকে গ্রেফতার করা হয় আনসারিকে। পুলিশ জানতে পেরেছে তারা ভাড়াটে খুনি। জানা গিয়েছে, শাফিকে এর আগেও চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে তিনি ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি আরও দুই জনের সঙ্গে ডাকাতিতে হাত পাকায়। এরপর বারাকপুরের ঘটনা। বাকিদের খোঁজ চলছে। শীঘ্রই সবাইকে ধরা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বারাকপুর থানার ওসি অলোক রাজেরিয়া। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

এই শুটআউটে পুলিশের সর্বাধিক গাফিলতির অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছিলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। আজ আবার নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে আক্ষেপের সুর শোনা গেলো তার গলায়। অর্জুন সিংয়ের কথায়, “অপরাধীরা নিরাপত্তা পাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ গুলিবিদ্ধ হচ্ছে! জলজ্যান্ত নিরীহ ছেলেকে মেরেছে (দুষ্কৃতীরা)! আমার নিরাপত্তা নিয়ে লজ্জা হয়। পুলিশ কম পড়লে আমি নিরাপত্তা ছেড়ে দেব।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “জেল থেকে বসে ব্যবসায়ীদের হুমকি জেলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জেল থেকে বসে এক বিরিয়ানির ব্যবসায়ীদের কাছে স্করপিও গাড়ি চাওয়া হচ্ছে, এবং মোটা অংকের টাকা তুলতে বলা হয়। কখনো বাইরের জেল থেকে, কখনো সেন্ট্রাল জেল থেকে। শুধু কালেক্টরকে গ্রেফতার করলেই প্রকৃত ব্যক্তিকে বের করা যাবে। মাথা পাওয়া গেছে। তিন মাস আগে আমি পুলিশকে বলেছিলাম তাদের ধরতে। পুলিশ মাথা ধরতে গিয়ে এরা পার পেয়ে যাচ্ছে।”

আরও পড়ুন:Rohit Sharma: রোহিতের নেতৃত্ব নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি সুনীলের

By Sk Rahul

Senior Editor of Newz24hours