সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়!ভাঙাচোরা ঘর,ছোটো একটি হোটেলের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন মা,বাবার!আর্থিক অনটনই নিত্যদিনের সঙ্গী।এরমধ্যেও উচ্চমাধ্যমিকে এবছর ৪৯৪ নম্বর পেয়ে তাক লাগাল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলের চন্দ্রবিন্দু মাইতি।আর্থিক প্রতিকুলতাকে জয় করে উচ্চ মাধ্যমিকে এবার তৃতীয় স্থান দখল করল সে।
স্থানীয় সূত্রে খবর,তমলুকের শংকরআড়া এলাকায় বাড়ির পাশেই একটি ছোট্ট হোটেল রয়েছে চন্দ্রবিন্দু মাইতির বাবা তপন মাইতির।সেই হোটেলেই তপন বাবু তার স্ত্রীকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে।এমনকি সেই হোটেলে বাবা-মায়ের সাথে হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করে চন্দ্রবিন্দুও।এক দিকে হোটেলে বাবা মায়ের সাথে কাজ,অন্যদিকে তার মাঝেই নিজের পড়াশোনা বজায় রাখা।মোটেও সহজ ছিল না চন্দ্রবিন্দুর জন্য।তবে সব প্রতিকূলতাকে জয় করে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় সাফল্য পেলো মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে চন্দ্রবিন্দু।তার এই সাফল্যে খুশি তার গোটা পরিবার।উচ্ছসিত তমলুকবাসীও।ইতিমধ্যে তমলুকের বিভিন্ন মানুষ জন মিষ্টি এবং ফুলের তোড়া নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের সফল তম ছাত্র চন্দ্রবিন্দু মাইতির বাড়িতে এসে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
জানা গিয়েছে,চন্দ্রবিন্দু ভবিষ্যতে আইটিআই নিয়ে বড় ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।এখন সেই স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে চন্দ্রবিন্দু।
আরো পড়ুন:Dakhineswar:দক্ষিণেশ্বর থেকে উদ্ধার বিপুল বাজি তৈরির মশলা