ঘটনার দিন স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এগরায় বিস্ফোরণের (Egra Blast) পর ঘটনাস্থলে নয়টি দেহ পাওয়া গেছে। প্রধান অভিযুক্ত বানু বাগও পরে কটকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও একজনের। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১১ জনে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, নিহতের নাম রবীন্দ্রনাথ মাইতি। তিনি এগরার বাসিন্দা। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিন দিন লড়াই করেও তাকে বাঁচাতে পারেনি। পিঙ্কি মাইতি নামে আরেক ব্যক্তি এসএসকেএম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে এগ্রার খাদিকুল ব্লকে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এগরা থানার আইসিকে শোকজ করার কথা বলেছিলেন। এরপর শুক্রবার আইসি পরিবর্তনের নোটিশ জারি করা হয়।
এতদিন দায়িত্বে ছিলেন মৌসম চক্রবর্তী। তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার ইনস্পেক্টর হিসেবে। এগরা থানার নতুন আইসি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন স্বপন গোস্বামী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও বোমা হামলার বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে। রাষ্ট্রকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের গতিপ্রকৃত সহ বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে।
আরও পড়ুন:চালু হচ্ছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী!পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা