গত বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারির বিরুদ্ধে গরু পাচার কান্ডের সাথে জড়িত মামলায় চার্জশিট দেয়। অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর মেয়ের বর্তমান ঠিকানা তিহাড় জেল। তবে, ইডির চার্জশিট ইঙ্গিত দেয় যে সুকন্যাকে শীঘ্রই জামিন দেওয়া হবে না। কিন্তু বাবা হয়ে অনুব্রত খুব চাইছেন তাঁর মেয়ের জামিন। এখন ঈশ্বরই তাঁর একমাত্র ভরসা।
বর্তমানে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল। ১২ মে তাকে আরও একবার রাউজের আদালতে পেশ করা হবে। ইতিমধ্যেই জামিনের আবেদন করেছেন সুকন্যা। তিনি দাবি করেন যে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। গরু পাচারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সিবিআই- র বিশেষ আদালতে বিচারক রঘুবীর সিংয়ের সামনে সুকন্যার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আগামী ১২ই মে সুকন্যার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ এবং সেদিনই তার জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। ১২ মে শুনানির আগেই ঈশ্বরের কাছে মেয়ের জামিনের আবেদন জানালেন অনুব্রত।
এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে অনুব্রত (Anubrata Mondal) বলেন, “ ঈশ্বর যেন মেয়েটাকে জামিন করিয়ে দেয়।” এদিকে সুকন্যার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে অনুব্রত মন্ডল বলেন, বাবা মেয়ের যেমন কথা হয়, তেমনই হয়েছে। অনেকদিন পরে মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে বলেন অনুব্রতও।
ইডির দাবি জেরার মুখে সুকন্যা জানিয়েছেন, তিনি বাবার কথা মতো চেক বইয়ে সই করতেন৷ গরু পাচারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না৷ এদিকে আবার অনুব্রত খোদ ইডিকে বলেছেন, সুকন্যাকে নিয়েই তিনি অন্যান্য ব্যবসা চালাতেন। শুধুমাত্র তাঁর স্ত্রী (প্রয়াত) কোনও ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন না। তবে বাবা-মেয়ে মিলে মণীশ কোঠারির পরামর্শ মেনে ব্যবসা সামলাতেন বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছে। এমনিতেই আবার তাঁদের লটারি দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
আরও পড়ুন:Mocha: ঘূর্ণিঝড় মোকা কি বাংলায় আঁচড়ে পড়বে?