২৫শে বৈশাখের আগে সোমবার আদালতে পেশ করা হয়েছে (Partha) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
দেখা গেল, পার্থ এদিন পুলিশের গাড়ি থেকে নামতে নামতে রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন উদ্ধৃত করছেন।
সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের জবাবে পার্থ বলেন, ‘আমি আজকে কবিতার লাইন বলব।’ তারপরেই বলেন, ‘মসী লেপি দিল তবু ছবি ঢাকিল না। অগ্নি দিল তবুও তো গলিল না সোনা।’
রবীন্দ্রনাথ এই লাইনগুলি যে কবিতায় লিখেছিলেন তার নাম ‘বিম্ববতী’। সেই কবিতায় রবীন্দ্রনাথ এক রানির কথা লিখেছিলেন। যিনি রূপসী। তাঁর রূপের মতো আর কারও রূপ এই ধরায় নেই। সেই তাঁকে ‘সতিনের মেয়ে’ বলে অনেক কিছু হজম করতে হয়েছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর সৌন্দর্যকে, রূপকে কিছু দিয়েই বিকৃত করা যায়নি।পার্থ বোঝাতে চেয়েছেন ভাবমূর্তিতে কালি ছেটালেও কালিমালিপ্ত করা যাবে না।
এখন কৌতূহল হল, তিনি কি কোনও রানির উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন? নাকি নিজেকে রানির জায়গায় ফেলে আত্মবিশ্বাসের কথা শোনালেন?
এদিন পার্থকে (Partha) দেখা গিয়েছে বেশ খোশ মেজাজে। হাসতে হাসতে রবীন্দ্রনাথ আওড়েছেন তিনি। জেলকে এখন সংশোধনাগার বলা হয়। অভিযুক্ত থেকে দোষী সাব্যস্তরা যাতে ভিতরে নানান সাংস্কৃতিক, শৈল্পিক কাজে যুক্ত থাকেন তার জন্য বিশেষ বিশেষ কর্মসূচিও নেয় জেল কর্তৃপক্ষ।