পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার ময়নার বাকচা গ্রামে পৌঁছেই বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশকে তুলোধোনা করলেন জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। কেন তাঁর পরিদর্শনের সময় এসপি ও ডিএম ঘটনাস্থলে উপস্থিত নেই, তুললেন সেই প্রশ্ন!

বৃহস্পতিবার সকালে ময়নার বাকচা গ্রামে পৌঁছন জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। যেখান থেকে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহ মিলেছে সেই জায়গা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তারপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের ধমক দিয়ে তিনি জানতে চান, ‘কেন বিজয়কৃষ্ণবাবুর দেহ নিয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলা হয়নি? কেন দেহ উদ্ধারের পরেই মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়নি? ডিএম এসপি কেন ঘটনাস্থলে হাজির হননি, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসী। পরে বলেন, সবাইকে দিল্লিতে তলব করবেন তিনি।

অন্যদিকে, খুনের দু’দিন পরেও খুনিরা ধরা না পড়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকায়। অবশেষে বুধবার গভীর রাতে বিজেপির বুথ সভাপতি খুনের ঘটনায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিককে ময়নার বলাইপন্ডার মেয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছে। সেখানে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ এমনটাই খবর।

প্রসঙ্গত, বিজয়কৃষ্ণর গ্রাম গোড়ামহলেরই বাসিন্দা মিলন। বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে প্রথম গ্রেফতার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মিলন ভৌমিক। তবে, বাকি হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এসবের পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহ কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেন দেহ নিতে দেরি, তা নিয়েও বুধবার রাত থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এমনকি, বৃহস্পতিবার সকালেও চলে বিক্ষোভ।

 

আরো পড়ুন:Purba Medinipur:আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সোনা জয় পূর্ব মেদিনীপুরের ৫ সন্তানের