ময়নায় খুন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বিরোধী দলের প্রধান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ময়নায় ১২ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করেন। একহাত নিলেন মমতা সরকার ও পুলিশকে।
বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়ার মৃত্যুই ছিল ময়নায় গণ্ডগোলের প্রাথমিক কারণ। আজ সকালে ময়না থানার কাছে একটি রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি। খবর পেয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর তিনি পরের দিন ময়নায় ১২ ঘণ্টা বন্ধের ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু খুনের সিবিআই তদন্ত এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মিছিলের আয়োজন করেছেন। বিজেপি বিধায়ক এই নির্দিষ্ট দিনে ময়নার শাসক দলকে একহাত নেন। শুভেন্দু সাফ বলেছেন যে এই নির্দিষ্ট দিনে রাজ্যের হাসপাতালে ময়নাতদন্তে তাঁরা রাজি নন। রিপোর্টে কারচুপি করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিজয়কে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। খুনি মমতার শেষ দেখে ছাড়ব। পরিকল্পনা অমরনাথের। ওকে সাহায্য করেছে হাসান। কাউকে ছাড়া হবে না। কী হয় দেখতে থাকুন।” যদিও শাসকদলের দাবি, এই মৃত্যুর পিছনে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন হাজরার দাবি,’দিন কয়েক আগে গোরামহল গ্রামের বাসিন্দা সরস্বতী মণ্ডলের বাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুর হয়। ময়না থানায় তার অভিযোগ দায়ের হয়। তার জেরেই সোমবার বিকেলে বিজয়কৃষ্ণের সঙ্গে কয়েক জনের বচসা বাঁধে। নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এর পিছনে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’
তাঁর অভিযোগ, এই মৃত্যুকে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ দিয়ে বিজেপি পাড়ায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। হামলাকারীরা তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’
ময়না এলাকায় বাইপাস বরাবর তিন রাস্তার মোড়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিজেপির স্থানীয় নেতা ও সমর্থকরা দলীয় পতাকা হতে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। দিনভর সেখানে ভিড় বাড়তে থাকে। পুলিশ বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করলে ময়না বিজেপির বিধায়ক অশোক দিন্দা এবং তাদের মধ্যে বচসা হয়।
আরও পড়ুন:Virat Kohli: ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে’ গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলার পর হুমকি বিরাটের