জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকার সময় থেকেই আচার্য বিল পড়ে আছে রাজভবনে। এই নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। এই বিলে তিনি সইও করছেন না, আবার সেটি ফেরতও পাঠাচ্ছেন না। আর তার জেরে এগোতে পারছে না রাজ্য সরকার তথা শিক্ষা দফতর।
প্রথমবার বাঁকুড়া সফরে এসেছেন সিভি আনন্দ বোস (Governor)। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি। উল্টোদিকে ঝাড়গ্রামে এসেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানেই আচার্য বিল নিয়ে সরাসরি রাজ্যপালকে বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিকে শহরজুড়ে কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আচার্য করার দাবিতে পোস্টার পড়েছিল। তারপর রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর সংঘাতের আবহ তৈরি হয়।
রাজ্যপালকে আচার্য বিল নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
শুক্রবার ঝাড়গ্রামের সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ঘুরে দেখেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্রীনিবাস, আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য একটি স্টাডি রুম এবং
একটি মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন। এখানেই ঝাড়গ্রাম জেলার একাধিক কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তখনই আচার্য বিল নিয়ে সরাসরি রাজ্যপালকে বার্তা দেন ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর অনুরোধ, ‘আমি চাইছি উনি বিলটি খতিয়ে দেখুন। মহামান্য রাজ্যপাল (Governor) হয় উনি সই করুন। না হলে বিলটা ফেরত পাঠান।’সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালদের উদ্দেশে নির্দেশ দিয়েছে, দীর্ঘদিন রাজ্যের বিল আটকে রাখতে পারবেন না রাজ্যপালরা।