এবার হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) আধা সামরিক বাহিনী নামল ব্যারাকপুরে।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আধা সামরিক বাহিনী নামানো হল ওই এলাকায়।এদিন রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে শিবপুর ও রিষড়ায় সৃষ্টি হয়েছিল তীব্র অশান্তির।যার রেশ ছড়ায় তার পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও।যদিও,পুলিশ ও সাধারণ মানুষের তৎপরতায় ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে ওই দুই এলাকা।

প্রসঙ্গত,ওই ঘটনার পর হনুমান জয়ন্তীতে যাতে আর কোনো উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি না হয়,তা সুনিশ্চিত করতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সেই মামলার শুনানিতে বুধবার আদালত জানায়,যে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।

সেই মতো এদিন সকাল থেকেই কলকাতা,হাওড়া এবং হুগলির একাধিক জায়গায় রুট মার্চ শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।বিশেষত,ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় বেশ কিছু জায়গা স্পর্শকাতর বলেই চিহ্নিত করা হয়েছিল।কমিশনারেট সূত্রে খবর,সকাল থেকেই কামারহাটি ও টিটাগড় এলাকায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে।যার কারণে,রাস্তায় দেখা মিলেছে আধা সামরিক বাহিনীর।

এদিকে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ”রাজ্যে আইনের শাসন নেই। তাই আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছে। আমরা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ।”

অন্যদিকে, ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষের কথায়, ”মহামান্য আদালতের রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও আদালতে রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে খানিক কটাক্ষ শোনা গেছে তৃণমূল নেতার গলায়। আমরা কথায় কথায় বলি রাম রাজত্ব, এর মানে সুশাসন। কিন্তু বিজেপি নেতারা বাইরে থেকে যেভাবে গুন্ডা এনে বাংলায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে তা মানুষ নজরে রাখছে। আদালত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় নামানো হচ্ছে মানে এই নয় যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ব্যর্থ।”

 

আরো পড়ুন:TMC:এমএল এর সামনেই এমএল কে চোর বললেন এক ব্যক্তি!মেজাজ হারালেন তৃণমূল বিধায়ক