দার্জিলিং, কালিম্পং ও রায়গঞ্জে এবার (Heliport) হেলিপোর্ট তৈরি করছে রাজ্য সরকার। এর পিছনে খরচ হচ্ছে মোট সাড়ে সাত কোটি টাকা।
হেলিপোর্ট পিছু খরচ হচ্ছে ২.৫ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের গতিশক্তি প্রকল্পে এই হেলিপোর্ট তৈরি হবে।
পবন হংস এই প্রকল্পে টেকনিক্যাল সাহায্য করবে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার থেকে লাইসেন্স তারাই আনবে।
DGCA-র সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ করবে পবন হংস। কারণ প্রতি সপ্তাহে একাধিক উড়ান পরিষেবা থাকবে ।
তাই DGCA থেকে নেওয়া হবে লাইসেন্স। দার্জিলিংয়ের টাইগার হিলের কাছে জমি পাওয়া গিয়েছে । সিঞ্চলে হবে এই হেলিপোর্ট।
হেলিপোর্ট (Heliport) বানানোর প্রধান কারণ পর্যটনকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া।
ওয়েটিং রুম, টয়লেট, বেবি ফিডিং রুম। হাওয়া ও দৃশ্যমানতা বুঝে যাতে দু’দিক থেকেই নামতে পারে হেলিকপ্টার সেই ব্যবস্থা থাকবে।
ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে দার্জিলিং বরাবরই একটি আকর্ষণের স্থান। আর সেই দার্জিলিঙে এতদিন টয় ট্রেন ছিল অন্যতম আকর্ষণ।
পাহাড়ের সৌন্দর্যকে ঘুরে দেখতে টয় ট্রেনের কোনও বিকল্প এতদিন ছিল না।
তবে এবার থেকে আকাশ পথেও ঘুরে দেখা যাবে পাহাড়ের সেই অপরূপ সৌন্দর্য। হেলিকপ্টারে চড়ে আকাশ পথে পাহাড়ের সৌন্দর্য ঘুরে দেখতে পারবেন পর্যটকরা।
বাংলার পর্যটনকে ঢেলে চালাতে রাজ্যের পরিবহণ দফতর এমনটাই চিন্তাভাবনা করছে।
দার্জিলিঙে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা যায় কিনা, তার জন্য
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতর এবং কলকাতার ফ্লাই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট যৌথভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
কারণ এই হেলিকপ্টার পরিষেবা যদি শুরু করা যায়, তাহলে পর্যটনের ক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ের ভূমিকা আলাদা হয়ে দাঁড়াবে।
একই রকম ভাবে কালিম্পংয়ে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক যাতায়াত করতে পারবেন ।
কারণ ধস নামলে অনেকেই যাতায়াত করতে পারেন না । ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয় তাদের ।