এবার একাধিক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র কম দামে পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগণা (North 24 Parganas) জেলার হাবড়ার মোদক পাড়ার বাসিন্দা বছর ৬৩-র স্বপন চট্টোপাধ‍্যায়ের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে বেশ কয়েক মাস ধরে ফ্রিজ, কালার টিভি, ওয়াশিং মেশিন, খাট ও আলমারি-সহ একাধিক সামগ্রী কম পয়সায় পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। রাজ্য সরকারের নকল স্ট‍্যাম্প ব্যবহার করে গ্রামবাসীদের কারোর কাছ থেকে ২০০০, তো কারোর কাছ থেকে ৫০০০ টাকা তুলেছেন ওই ব্যক্তি। এভাবেই প্রায় ১৫০ গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা তুলেছেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। শনিবার হাকিমপুর গ্রামে ফের টাকা আদায় করতে গেলে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় তার কাছ থেকে উপযুক্ত নথিপত্র দেখতে চায় তারা। তবে, তিনি বৈধ কোনো খাগজ দেখাতে না পারলে, তার ওপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা।

জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নকল স্ট্যাম্প ব‍্যবহার করে একটি ডাইরিতে নামের তালিকা তৈরি করে তার পাশে গ্রামবাসীদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগিয়ে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন প্রতারক স্বপন চ্যাটার্জী। আর এদিন তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করে গ্রামবাসীরা। এরপর তাকে আটকে রেখে স্বরূপনগর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ এলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যেই প্রতারণার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে, এখন প্রশ্ন একটাই কিভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নকল স্ট্যাম্প তৈরি করে দিনের পর দিন এই প্রতারণা চক্র সীমান্তে সক্রিয় হল? এর সঙ্গে কোনো বড় চক্রের মূল পান্ডা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা সীমান্ত এলাকায়।

পাশাপাশি, গ্রামবাসীদের কাছ যে অর্থ নেওয়া হয়েছে সেগুলিও ফেরত দেওয়ার ব‍্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। সেই সাথে ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে, এমন প্রতারণা কবে বন্ধ হবে? বা, আদৌ বন্ধ হবে কিনা তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

 

আরো পড়ুন:Howrah : হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলে সহিংসতায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা