১২ বছর পর আবারও তৎকালীন ক্ষমতাশীল দল সিপিএম দলের বয়কট করার হুংকার দিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mallick)।শনিবার হাবড়া’য় আয়োজিত দুয়ারে ডাক্তার কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী।সেখানে চিরকুটে নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গে উঠতেই সুর চড়ান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।স্মরণ করিয়ে দেন বছর বারো আগে নিজের দেওয়া স্লোগানের কথা।মন্ত্রী বলেন,-“২০১১ সালের নভেম্বরে একটা স্লোগান দিয়েছিলাম।সেটা হল- সিপিএমের সঙ্গে চলব না।তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি করব না।তারা কোনও বিয়েবাড়ি গেলে যাব না।ব্যাগ হাতে বাজারে দাঁড়িয়ে চা খাব না,আড্ডা মারব না।সেটা আজও খুবই প্রযোজ্য। আমি সিপিএমের সঙ্গে চলার পক্ষপাতী নই।এরা ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক দল।”মন্ত্রী আরো বলেন,-“মুখ্যমন্ত্রী যদি বাম জমানার সমস্ত দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেন,তবে সিপিএম নেতাদের যে কী হাল হবে তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।”মন্ত্রীর কথায়,-“সিপিএম শেষ হয়ে গিয়েছে।এদের কিছু হবে না।যেই মুখগুলিকে দেখছেন।সেগুলো পচে গিয়েছে।নতুন মুখ চাই।”
আসলে ২০১১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় যখন তৃণমূল দল এসেছিল,তখন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।সেইসময় তিনি সিপিএম দলকে বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন।এরপর কেটে গেছে ১২টি বছর।খাদ্যমন্ত্রী থেকে এখন তিনি হয়েছেন বনমন্ত্রী।তবে নিজের মন্তব্যে আজও অনড় তিনি।আবারও দিলেন সেই সিপিএমকে বয়কটের ডাক!
তবে জ্যোতিপ্রিয় এদিন এমন মন্তব্য করলেও, সিপিএমের বয়কট প্রসঙ্গে ৩৬০ ডিগ্রি উলটো পথে ঘুরে ভিন্নমত পোষণ করেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।মেয়রের মতে,-“আগে মানুষ,পরে দল।সিপিএমের বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে কাউন্সিলর,এমএলএ হিসেবে আমার কর্তব্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো।সিপিএম বাড়ির কেউ মারা গেলে আমি শ্মশানযাত্রী হব।এটা আমার মানবিক কর্তব্য।সামাজিক বয়কট সিপিএম করত।আমরা এসবে বিশ্বাস করি না।আমরা বিবেকানন্দের কথা বিশ্বাস করি।”