শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে গ্রেপ্তারির পরই উঠে এল একের পর এক রহস্যনময়ীর নাম। সেই সাথে পাওয়া গিয়েছে অয়ন শীলেরও একাধিক বান্ধবীর সন্ধান। ইডি (ED) সূত্রে খবর, অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এবং তার মোবাইল খতিয়ে দেখে আরও এক নারীর খোঁজ মিলেছে। যার নাম শ্বেতা চক্রবর্তী, পেশায় মডেল। তাঁর বাবা সরকারি কর্মী। অয়ন শ্বেতাকে হোয়াটসঅ্যাপে লেখেন, “বাড়ি থেকে সব ডকুমেন্ট সরিয়ে ফেলো। টাকা-পয়সা যা আছে সব সরাও। ইডি রেট হতে পারে।”
কিন্তু, কে এই শ্বেতা চক্রবর্তী?জানা গিয়েছে, নৈহাটির বিজয় নগরের বাসিন্দা শ্বেতা। তাঁর বাবা ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী। শ্বেতা চক্রবর্তী মডেল হিসাবেও টলিপাড়ার বেশ পরিচিত মুখ। এছাড়া কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের সহকারি হিসাবে চাকরিও করেন তিনি। সেই সাথে সামলাতেন অয়ন শীলের প্রমোটারি ব্যবসাও এবং সেই ব্যবসার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও ছিলেন শ্বেতা।
গত ২০১৭ সাল থেকে অয়ন শীলের সাথে পরিচয় শ্বেতা চক্রবর্তী। জানা যাচ্ছে, অয়ন শীলের স্ত্রীর সুবাদেই মডেল শ্বেতার সাথে পরিচয় অয়নের। অয়ন শীল পেশায় প্রোমোটিং এর ব্যবসা করেন। গত শনিবার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিকেরা, তাতে পৌরসভাতে নিয়োগ দুর্নীতির সাথে যুক্ত অনেক নথিই পেয়েছেন তারা এবং সেখানেই বেশ কয়েকটি পৌরসভার নামও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। আর তাতেই কামারহাটি পৌরসভায় কর্মরত শ্বেতা চক্রবর্তীর সূত্র পান তদন্তকারী অফিসাররা। ইডির তদন্তে দেখা গেছে, অয়ন একটি গাড়ি কেনার জন্য বেশ কিছু অর্থ দিয়েছিলেন শ্বেতা-কে। সেই সূত্র অনুযায়ী ইডি আধিকারিকেরা শ্বেতাকে তলব করেছে ইডি দপ্তরে।
এসবের মধ্যেও তাদের চ্যাট হিস্ট্রিতে লেখা, ‘ইডি রেইড করতে পারে, জিনিসপত্র সরিয়ে নাও’ এই কথা দেখে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, শ্বেতা কিভাবে তল্লাশির খবর আগে থেকে জানতে পেরেছিলেন? আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে মরিয়া গোয়েন্দারা।
আরো পড়ুন:Anubrata Mondal:ইডি হেফাজত শেষে ফের দিল্লির আদালতে অনুব্রত!আজই হবে চূড়ান্ত ফয়সলা,তাকিয়ে বাংলা