এক বন্দির মৃত্যুকে ঘিরে শনিবার ধুন্দুমার কান্ড বাঁধে নিউটাউন (Newtown) থানা অন্তর্গত সুলংগুড়ি কলোনি পাড়ায়।সূত্রের খবর,নিউটাউন সুলংগুরি এলাকার বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সি অশোক হালদারকে গত ২৫ তারিখে গ্রেফতার করেছিল নিউটাউন থানার পুলিশ।তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল।অশোক ও তার বন্ধু বাবলু হাজরা পাওনার টাকা আদায়ের জন্য শঙ্করলাল যোশি নামে এলাকারই এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে গিয়েছিল।আর এরপরই ওই কাঠব্যবসায়ী আত্মহত্যার চেষ্টা করে।পরে হাসপাতালেই পুলিশের কাছে বয়ানে অশোক ও বাবলুর নাম নেয় ওই কাঠ ব্যবসায়ী।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অশোক হালদারকে গ্রেফতার করে।

আদালত থেকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হলে তাকে পাঠানো হয় দমদম সংশোধনাগারে।অবশ্য এরপর আদালতের নির্দেশে জামিন পায় অশোক।কিন্তু জামিনে মুক্তির দিনেই সকাল ১০ টা নাগাদ পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন,অশোককে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।পরে সেখানেই মৃত্যু হয় অশোকের।এরপরই ছড়ায় চাঞ্চল্য।দেহের ময়নাতদন্তের পর এদিন অশোকের দেহ নিউটাউনে পৌঁছালে উত্তেজনার ছড়ায় সুলংগুড়ি কলোনি পাড়া এলাকায়।রাস্তায় মৃতদেহ রেখে রাস্তা অবরোধ করে তারা।পাশাপাশি মিথ্যে সাক্ষী দেওয়া লালটু মুন্সির বাড়িও ভাঙচুর করে স্থানীয় বাসিন্দারা।

পরিবারের অভিযোগ,-জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগেই কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।তাদের আরো অভিযোগ,-এই ঘটনা পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা গাইন প্রদর্শন ও তার স্বামী শিব শংকর গায়েনের প্ররোচনাতেই হয়েছে।এখন এই ঘটনা কোন দিকে মোড় নেই সেটাই দেখার!

 

আরো পড়ুন:Cow Smuggling Case:প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গরু পাচারের অভিযোগ রামনগর এলাকায়!উত্তপ্ত এলাকা