রাজ্যের শাসকদলের (TMC) অন্দরে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে । বীরভূমের দায়িত্ব কে নেবেন, তা নিয়ে জোরকদমে আলোচনা চলছিল।
এবার সেই আলোচনা থামিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। বীরভূমের দায়িত্ব আর কাউকে না দিয়ে আপাতত নিজের কাঁধেই রাখলেন তিনি।
এদিন কালীঘাটের বৈঠকের শেষে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”বীরভূম দিদি নিজে দেখবে। তাপস রায় দক্ষিণ দিনাজপুর। মলয় ঘটক বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান পশ্চিম দেখবে।
অরূপ বিশ্বাস নদিয়া, বর্ধমান পূর্ব, দার্জিলিং দেখবে। ফিরহাদ হাকিম দেখবেন হাওড়া ও হুগলি। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে মালদহ, মুর্শিদাবাদ দেখতে বলা হয়েছে।”
সুদীপের সংযোজন, ”পুরনোরা ছিল। নতুনরা আসবে। কিন্তু যারা দুর্দিনে থেকেছে তারা অনুভব করেনি যে তারা গুরুত্ব হারাচ্ছে। দলকে কিছু ক্ষেত্রে তো কখনও সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।”
তবে, বীরভূম নিয়ে মমতার সিদ্ধান্ত বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দীর্ঘদিনের দাপুটে নেতার বিকল্প খুঁজে বের করার কাজটা মোটেই সহজ নয়, তা মানছেন দলীয় নেতৃত্ব।
ড্যামেজ কন্ট্রোলে উঠে এসেছে নানা নাম। বস্তুত অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে দলের তরফে উঠে এসেছে নানা নাম। যেমন অভিজিত্ সিংহ।
তিনি জেলা রাজনীতিতে (TMC) অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। দ্বিতীয় নামটি হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিজিত সিংহের নামও রয়েছে সিবিআইয়ের তালিকায়। তাঁকেও ডেকেছিল সিবিআই। তাই সবমিলিয়ে অনুব্রতর বিকল্প খুঁজতে গিয়ে দিশেহারা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।