তৃণমূলের (TMC) বুথ কমিটির বৈঠকে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। নিজেদের মধ্যেই বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা।তেড়ে গেলেন উপস্থিত নেতৃত্বের দিকেও। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। যদিও, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ তৃণমূল।
বুধবার রাতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় শিব মন্দির বুথে ছিল তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক সভাপতি মোশারফ হোসেন, ব্লক সহ- সভাপতি সাগর দাস, হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। বর্তমানে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে প্রত্যেকটি বুথেই বৈঠক করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম নিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর ওই একইভাবে এই বুথেও প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নন্দ রজক, উত্তম ভাস্কর এবং নব মন্ডলের নাম। তবে, এই তিন জনের মধ্যে থেকে মূলত নন্দ রজক এবং উত্তম ভাস্করকে প্রার্থী করার জন্য জোরালো দাবি উঠতে থাকলে শুরু হয় দুই জনের অনুগামীদের মধ্যে বচসা এবং তা পৌঁছায় হাতাহাতি পর্যায়ে।
পাশাপাশি, উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীরা তেড়ে যায় উপস্থিত নেতৃত্বের দিকেও। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
অন্যদিকে, এই ঘটনা সামনে আসতেই কটাক্ষ করতে শুরু করে বিজেপি। যদিও, এই ঘটনার মধ্যে শুভ সংকেতই দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের দাবি দল বড় হয়েছে তাই এক বুথে একাধিক দাবিদার রয়েছে। এটা মানুষের মমতা ব্যানার্জির প্রতি ভালোবাসার উত্তেজনা। সমগ্র ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।
প্রসঙ্গত, হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় তৃণমূলের ঝুলিতে এর আগে তেমন ভোট মেলেনি। ফলে শাসকদল এবার সদর এলাকায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে মরিয়া। স্থানীয় নেতৃত্বদের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়ে গেছে তার প্রস্তুতিও। কিন্তু সেই প্রস্তুতি শুরু হতেই যেভাবে অভ্যন্তরীণ সংঘাত সামনে আসছে, তা শাসকদলের কাছে শুভ মনে হলেও আদতে তা মোটেও শুভ নয় বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
আরো পড়ুন:Manasi Sinha: শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে কৌশিকের পর বিপাকে পড়লেন মানসী, সাফাই দিতে কি বললেন তিনি?